স্বাধীনতা দিবস ভালয়-ভালয় কাটলে উপত্যকায় জেলাভিত্তিক কার্ফু প্রত্যাহারের পরিকল্পনা নিল কেন্দ্র। ধাপে ধাপে ফেরানো হবে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, এ মাসের মধ্যেই উপত্যকায় স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে চাইছে সরকার। ১২-১৪ অক্টোবর কাশ্মীরে প্রথম আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মাঝে এক মাস। তাই দ্রুত কার্ফু তুলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চাইছে নয়াদিল্লী।
এই প্রসঙ্গে জম্মু–কাশ্মীরের পুলিশ আধিকারিক মুনির খান জানিয়েছেন, ‘জম্মু–কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক। জম্মু থেকে সরকারি বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাশ্মীরের ক্ষেত্রে এখনই তা করা হচ্ছে না। কয়েকটি জায়গায় সেনাকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য, উপত্যকায় সুস্থ ভাবে স্বাধীনতা দিবস পালন করা।’
এরই মধ্যে আজ আগের অবস্থান পাল্টে কেন্দ্র মেনে নিয়েছে, গত শুক্রবার নমাজের পরে শ্রীনগরের শৌরায় স্থানীয় মানুষ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট-পাথর। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ভিডিয়ো একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেখানো হলে শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দাবি করে, খবরটি ভুয়ো। গতকালও এ নিয়ে টুইট-যুদ্ধ চলে মন্ত্রক এবং ওই সংবাদমাধ্যমের। আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, ‘সে দিন নমাজিদের ভিড়ে দুষ্কৃতীরা মিশেছিল। তারাই পাথর ছুড়লে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অশান্তি শুরু হয়।’ তবে এদিনও কেন্দ্র দাবি করেছে, ‘শুক্রবারের বিক্ষোভ মোকাবিলায় গুলি বা ছররা বন্দুক চালানো হয়নি’।