সমস্ত জল্পনাকে সত্যি করে দিন কয়েক আগেই বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের। বিলোপ ঘটেছে ৩৭০ ধারার। মোদী সরকারের এ হেন সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। ৩৭০ ধারা রদের পর কার্যত ‘গৃহবন্দী’ বা ‘তালাবন্ধ’ গোটা উপত্যকা। এমনটাই জানাচ্ছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রবীণ সাংসদ তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা বা সে রাজ্যের প্রাক্তন আইএএস অফিসার তথা জম্মু-কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্ট পার্টির নেতা শাহ ফয়জলরা। দ্বিধাবিভক্ত হলেও প্রথম থেকেই এর বিরোধীতা করছিল কংগ্রেসও। তবে এবার সোনিয়া গান্ধী দলের হাল ধরতেই সক্রিয় হলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা। দলের নবীনদের একাংশ যখন ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বিলোপের পক্ষে মত প্রকাশ করে দলে অস্বস্তির সৃষ্টি করেছেন, তখন পি চিদম্বরম, মণিশঙ্কর আইয়ার, মনমোহন সিংহের মতো বর্ষীয়ান নেতারা সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হলেন।
মণিশঙ্কর যেমন বর্তমান কাশ্মীরের অবস্থাকে প্যালেস্তাইনের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, সরকারের ওই সিদ্ধান্তের ফলে কাশ্মীর এখন প্যালেস্তাইনে পরিণত হয়েছে। আর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরমের অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীর হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ হলে সরকার ওই সিদ্ধান্ত নিত না। তাঁর দাবি, ‘জম্মু-কাশ্মীর মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্য হওয়ায় অনুচ্ছেদটি বাতিল হয়েছে। কাশ্মীর হিন্দু অধ্যুষিত হলে এটা হত না। পেশিশক্তি প্রদর্শনের জন্যই সরকার বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’ অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা জয়পাল রেড্ডির স্মরণসভায় মনমোহন সিং বলেন, ‘দেশ এখন গভীর সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সে কারণে সমস্ত সমমনোবাভাপন্ন লোকেদের এক হওয়া প্রয়োজন।’ কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার প্রত্যাহার প্রসঙ্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘এর বিরুদ্ধে সকলের সরব হওয়ার সময় এসেছে।’