শুক্রবার রাত থেকেই টানা বৃষ্টি চলছে মুম্বইতে। যার ফলের ক্রমশ খারাপ হচ্ছে মহারাষ্ট্রের বন্যা পরিস্থিতি। মুম্বই, রত্নগিরি, কল্যাণ-সহ বিভিন্ন জায়গায় ক্রমশ জল বাড়ছে। শনিবার আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।একটানা ভারী বৃষ্টির জেরে বেসামাল বাণিজ্য নগরী। লাইনে জল জমে যাওয়ায় যাত্রী সমেত আটকে পড়েছে মুম্বই-কোলাপুর মহালক্ষ্মী এক্সপ্রেস।
মুম্বই-কোলাপুর ট্রেনের যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলার একটি দল। জমা জলে আটকে পড়া ট্রেন থেকে বন্দি যাত্রীদের উদ্ধারে নেমেছে রেলের নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশবাহিনীও। জানা গিয়েছে ওই ট্রেনের মধ্যে প্রায় ২০০০ জন যাত্রী রয়েছেন। তাঁদেরকে নিরাপদে সুরক্ষিত এলাকায় নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় চলছে। আতঙ্কিত যাত্রীদের বিস্কুট ও জলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জলে আটকে পড়া ট্রেন থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করতে নামানো হয়েছে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা ফোর্সের ৬টি নৌকা। ব্যবহার করা হচ্ছে মিলিটারির ১টি চপারও। মুম্বই থেকে ৬০ কিমি দূরে ঘটনাটি ঘটেছে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ৭০০জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। যাত্রীদের উদ্দেশ্য কেন্দ্রীয় রেলওয়ে থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, জলে আটকে পড়া ট্রেন থেকে কোনও যাত্রী নামবেন না। ঘটনাস্থলে পৌঁচেছে উদ্ধারকারী দল।
ট্রেনে আটকে পড়া এক যাত্রী টুইটে ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বন্যার জলে ফুঁসে ওঠার নদীর জল ট্রেনের কামরা মেঝে পর্যন্ত উঠে গিয়েছে। আসফাশের এলাকায় কোনও কিছু নেই, শুধু জল ছাড়া। তারই মাঝে আটকে গিয়েছে মহালক্ষ্মী এক্সপ্রেস।
ভারী বর্ষণের জেরে অম্বরনাথ-বদলাপুর-ভানগানি এলাকায় উল্লাস নদীর জল এখন বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ওইসব এলাকায় যে বন্যা পরিস্থিতি হয়ে পড়েছে তা বলাই বাহুল্য। ফলে সাময়িকভাবে কল্যাণ, কারজাট ও খোপোলি এলাকায় রেল পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়েছে।