সজল কাঞ্জিলালের মৃত্যুর তদন্তে এল নয়া মোড়। সজোরে মেট্রোর ব্রেক কষার জেরে মৃত্যু হয়নি সজল কাঞ্জিলালের। প্রত্যক্ষদর্শী এক আরপিএফ অফিসার কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি-কে যা বয়ান দিয়েছিলেন, তাতে ঘটনার পরের দিনই এই ঘটনায় নতুন করে সন্দেহ দানা বাঁধে। সেই সন্দেহের অবসান হল শনিবার। ঘটনাস্থলে এদিন ফরেন্সিক তদের আধিকারিকেরা আসেন। তাঁরা ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও অন্য প্রযুক্তি গত তথ্য মিলিয়ে জানান, সজল কাঞ্জিলালের হাত দরজায় আকটে যাওয়ার পর তাকে টানতে টানতে নিয়ে যায় ট্রেনটি। সেই সময়ে তার পা প্ল্যাটফর্মের বাইরে বেরিয়ে গিয়ে মোট্রোর তৃতীয় লাইন অর্থাৎ যে লাইনে বিদ্যুৎ থাকে তাতে স্পর্শ করে। আর তখনই তড়িদাহত হয়ে মারা যান সজল কাঞ্জিলাল।
ঘটনার পরের দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ওই আরপিএফ কর্মী জানিয়েছিলেন, ট্রেন থামার পর নামতে গিয়ে লাইনের তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় সজল কাঞ্জিলালের। তিনি বলেছিলেন, তখনও ট্রেনের একাংশ স্টেশনের মধ্যেই। ট্রেন থামার পর সজল কাঞ্জিলাল মেট্রোর দরজা থেকে হাত বের করে নেন। এরপর লাইন দিয়ে নেমে স্টেশনের ওঠার চেষ্টা করেন। তখনই রেললাইনের বিদ্যুতবাহী পাতের সঙ্গে পা লেগে তড়িদাহত হন ওই ব্যক্তি। এদিনের রিপোর্টের ভিত্তিতেই এবার চালক ও গার্ডের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ এখন সকলের নজর সেই দিকেই।