ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলের রগড়া অঞ্চলে ফেসবুকে এক বিজেপি নেতার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগের পোস্ট ঘিরে তুলকালাম হল এলাকা। ভাঙচুর, অপহরণের চেষ্টা আর অবরোধের ঘটনা ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ে। তৃণমূলের যুব নেতা বিশ্বজিৎ পাল পোস্টটি করেন। তার জেরে তাঁর বাড়ি, গাড়ি ভাঙচুর করে অপহরণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। ৭ জন বিজেপি কর্মীকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী সাঁকরাইলের এই রগড়া ২ নম্বর অঞ্চল। সাঁকরাইলের যুব তৃণমূল সভাপতি অনুপ মাহাতো ও কার্যকরী সভাপতি শান্তনু ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, “স্থানীয় এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার কথা ফেসবুকে দেন দলের জেলা কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ পাল। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকজন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করলে তখনকার মতো তারা চলে যায়। ফের রাতের অন্ধকারে ১০–১২টা মোটরবাইক নিয়ে হামলা করা হয় বিশ্বজিতের বাড়িতে। বাড়িতে ঢুকে স্ত্রী, মেয়েকে মারধর করে বিজেপি–র কর্মীরা। তাঁর বাড়ি–সহ পাশাপাশি কয়েকটি বাড়িতেও ভাঙচুর ও লুটপাট করে তারা। বিশ্বজিৎ পালের গাড়ি ভাঙচুর ও দলের একটি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয় তঁাকে অপহরণের চেষ্টা করে। এলাকার তৃণমূল কর্মীরা পথ আটকে দাঁড়ালে বিশ্বজিৎকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় ওরা”।