বর্ষা, বাঙালি, ব্যস্ততাহীন দুপুর… খাদ্যরসিক বাঙালির মন ‘ইলিশ-ইলিশ’ করবে না এটা হতেই পারে না। বর্ষা মানেই মোহনামুখী হবে ইলিশের ঝাঁক, এটাই নাকি ইলিশের চরিত্র! কিন্তু ১৫ জুন থেকে সমুদ্রে ইলিশ ধরার মরশুম শুরু হলেও, বর্ষার সঙ্কট ছিল এবার। তাই আষাঢ়ের পরও বাজারগুলিতে দেখাই ছিল না টাটকা ইলিশের। বর্ষার অপেক্ষায় ছিলেন মৎস্যজীবীরা।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতো, দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলোতে বুধবার থেকেই ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর তাতেই দেখা দিয়েছে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ইলিশের ঝাঁকের। শুক্রবার দিঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে উঠেছে ১৫ টন ইলিশ। ৫০০–৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ পাওয়া গেছে সর্বাধিক পরিমাণ। যার পাইকারি দাম ছিল এদিন কেজিপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। এ ছাড়া ৭০০–৮০০ গ্রাম বা তার বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তৈরি–হওয়া নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে মাঝারি ঝড়–বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। দুর্যোগের শঙ্কায় আগামী ২৪ ঘণ্টা মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকর্তা নবকুমার পয়ড়্যা বলেন, ‘অনুকূল আবহাওয়া ও ঝিরঝিরে বৃষ্টি নামলেই সমুদ্রে ইলিশের দেখা মেলে। আপাতত সমুদ্রে এ–দুটোরই উপস্থিতি আছে। তাই ইলিশও ধরা পড়ছে। শুক্রবার ১৫ টন ইলিশ নিলাম হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে পরের সমুদ্রযাত্রায় আরও বেশি ইলিশ পাব।’
বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে অর্থাৎ পুব দিকে মৎস্য শিকারে যাওয়া লঞ্চগুলিই মূলত এই ইলিশ পেয়েছে বলে জানা গেছে। মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, গত দু’দিন ধরে ইলিশ–উপযোগী ঝিরঝিরে বৃষ্টি ও পুবালি বাতাস ছিল। আর সেজন্যই জালে পড়েছে ইলিশ।