প্রধানমন্ত্রী মোদী অবশ্যই কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার অনুরোধ জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে। জানাল মার্কিন বিদেশ দপ্তর। এর আগের বক্তব্য থেকে সরে এসে প্রেসিডেন্টের পক্ষে দাঁড়াল।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমরান খানকে পাশে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, মোদি তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন এবং তিনিও রাজি মধ্যস্থতায়। এর পর ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক খুব কড়া এক প্রতিক্রিয়ায় জানায়, মোদী-ট্রাম্পের শেষ সাক্ষাৎকারে কাশ্মীর নিয়ে কথাই হয়নি। মোদী কোনও অনুরোধ জানাননি। তার পর মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকও জানায়, কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলে তারাও মনে করে। তার পরেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে নিজেদের বক্তব্য বদলে ফেলল ওয়াশিংটন।
প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন সরকারের নীতির বদল ঘটছে? ওয়াশিংটনে এক সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মর্গান অর্টেগা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট যা বলেছেন, তার বেশি আর কিছু আপাতত বলার নেই। তবে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম মনে করছে, কাশ্মীর নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আলটপকা মন্তব্যে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, বিদেশ মন্ত্রকের এই সমর্থনে তা আরও বাড়বে। মন্ত্রকের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত, কার্যনির্বাহী সহ-বিদেশ মন্ত্রী অ্যালিস জি ওয়েলস ওই উত্তেজনা কমানোর যে চেষ্টা করছিলেন, তা কার্যত জলে গেল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্যের পর এই ওয়েলসই টুইট করে কাশ্মীর প্রশ্নে ভারতের অবস্থানকেই সমর্থন জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এটা অবশ্যই ভারত আর পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। তবে ওই দুই দেশ যদি রাজি থাকে, তা হলে আমেরিকাও আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি।