মোদী সরকার দ্বিতীয় বারের জন্য দিল্লীর মসনদে ফিরতেই ‘ভক্ত’দের ‘রামরাজ্যে’ পরিণত হয়েছে গোটা দেশ। উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, বাংলা, আসাম-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘জয় শ্রীরাম’ হয়ে উঠেছে প্রহারের মন্ত্র। ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে আপত্তি জানালেই জুটছে ‘ভক্ত’দের হাতে বেধড়ক মার। এই পরিস্থিতিতে গণপ্রহারে হত্যার ঘটনা রোধ করতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? শুক্রবার একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং ১০টি রাজ্যের সরকারের উদ্দেশ্যে এমনই প্রশ্ন তুলে ব্যাখ্যা চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে তেহসিন পুনাওয়ালা বনাম ভারত সরকার মামলায় গণপ্রহারের মতো হিংসাত্মক ঘটনা রোধ করার জন্য এবং এর ক্রমবর্ধমান প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করতে ১১টি বিষয় বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে নির্দেশ জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল আইন প্রণয়ন করে দেশের আইন ও সামাজিক কাঠামোকে রক্ষা করার উদ্যোগ। সেই নিয়ে এ পর্যন্ত কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করেছে, গতকাল তা-ই জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট।
এক্ষেত্রে কেন্দ্রের পাশাপাশি ১০ রাজ্যের বিরুদ্ধেও নোটিশ জারি করেছে আদালত। যার মধ্যে অধিকাংশ রাজ্যই বিজেপি শাসিত। শুধু তাই নয়। গণহিংসার পিছনে লুকিয়ে থাকা লিঙ্গ বৈষম্য ও বাক স্বাধীনতা রোধ করে গণতন্ত্রের অবমাননার বিষয়টি নিয়েও গতকাল মন্তব্য করেছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি দীপক গুপ্তার বেঞ্চ। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।