সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ছবি। রয়টার্সের বিখ্যাত ফটোগ্রাফার Jose Luis Gonzalez গত সোমবার ক্যামেরা বন্দি করেছেন এই করুণ মুহূর্ত। আর এই ছবি তোলা হয়েছে মেক্সিকো-আমেরিকা বর্ডারে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে হাঁটু মুড়ে রাস্তাতেই বসে পড়েছেন এক মহিলা। ডানহাত দিয়ে আঁকড়ে জড়িয়ে ধরে রেখেছেন ৬ বছরের ছেলেকে। কান্নায় ভেঙে পড়লেও হাত দিয়ে মুখ ঢেকে সামলানোর চেষ্টা করছেন নিজেকে। সঙ্গে চলছে কাতর আর্জি। সামনে দাঁড়ানো নিরাপত্তারক্ষীকে কাকুতি-মিনতি করে ওই মা আর্জি জানাচ্ছেন, তাঁকে যেন বর্ডার পার করতে দেওয়া হয়।
ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে নিজের ভিটে গুয়াতেমালা ছেড়েছেন লেটি পেরেজ নামে ওই মহিলা। লক্ষ্য একটাই, বর্ডার পার করে আমেরিকা যেতে হবে। ছেলেকে একটা সুন্দর-সোনালি ভবিষ্যৎ উপহার দিতেই হবে। কিন্তু বর্ডার পেরনোর আগেই মেক্সিকান ন্যাশনাল গার্ডের মুখোমুখি হন ওই মা এবং ছেলে। তবে হাজার কাকুতি-মিনতি, করুণ আর্জিতেও মন গলেনি নিরাপত্তারক্ষীর। নিজের দায়িত্ব পালনে অনড় তিনি। সেখানে এক চুলও ফাঁকি দিতে রাজি নন মেক্সিকো বর্ডারের ওই নিরাপত্তারক্ষী। তাই এক মায়ের কাতর আর্জিতেও সারা দেননি তিনি। বর্ডার পেরোতে পারেননি ওই গুয়াতেমালান মহিলা এবং তাঁর ছেলে।
নিয়ম মেনেই তাঁদের আটকেছিলেন সেনা। কিন্তু ততক্ষণে দেড় হাজার মাইল পেরিয়ে এসেছেন গুয়াতেমালার ওই মা এবং ছেলে। আর মাত্র একটু খানি রাস্তা। তারপরেই রয়েছে ছেলের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করার সমস্ত সুযোগ। তাই তীরে এসে তরী ডোবাতে চান না ওই মা। ছেলের অ্যান্টনির জন্য যে ভাবেই হোক পেরোতে হবে বর্ডার। তিনি যে মা! তাই নিরাপত্তারক্ষীর হাজার বারণ সত্ত্বেও আর্জি জানাতে পিছপা হননি ওই মহিলা। সেনার পায়ের সামনেই হাঁটু মুড়ে বসে পড়েছেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বর্ডার পেরোতে পারেননি তিনি।