বাংলায় মসলিন বস্ত্রশিল্প পুনরুজ্জীবিত করার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ওতপ্রতভাবে জড়িত। বস্ত্রশিল্প, হস্তশিল্প, বাংলার রন্ধনশিল্প – এই সবই বাংলার ঐতিহ্য। এই হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁর উদ্যোগের ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তর ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ‘প্রজেক্ট মসলিন’ প্রকল্প শুরু করে। এবার মসলিন বস্ত্রের জিআই ট্যাগের জন্যে আবেদন করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷
পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামোদ্যোগ পর্ষদ শীঘ্রই বাংলার হেরিটেজ মসলিন বস্ত্রের জন্য জিআই ট্যাগের আবেদন করবে। শতাব্দী প্রাচীন এই ফ্যাব্রিক, যা বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে একাত্ম ভাবে জড়িয়ে আছে, সেই মসলিনের জন্য জিআই ট্যাগের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি তৈরীর কাজ প্রায় শেষ।
মসলিন বস্ত্রশিল্প পুনরুজ্জীবিত করার যে উদ্যোগ রাজ্য সরকার নিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল রাজ্যের তিন জায়গায় মসলিন পর্যটন সার্কিট তৈরী করা। এই সার্কিটে বিদেশী পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হয় নিজের চোখে মসলিন বস্ত্র তৈরী প্রত্যক্ষ করতে। এই তিনটি জায়গা হল – মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর, পূর্ব বর্ধমান জেলার অকালপৌষ এবং সাসিনাড়া গ্রাম।
বাংলার সাতটি জেলায় মূলত মসলিন বস্ত্র তৈরী করা হয় – মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান, মালদা, হুগলী এবং পশ্চিম মেদিনীপুর মসলিন বস্ত্র তৈরীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ৯০০ থেকে ১১০০ পরিবার।