আশঙ্কা আগেই ছিল। আর সকাল থেকে সেই আশঙ্কা সত্যি হচ্ছে রাজ্যের দিকে দিকে। বিজেপি নেতা-নেত্রীরা ২১ শে জুলাইয়ের তৃণমূলের শহীদ দিবস বানচাল করার যে আভাস দিয়েছিলেন সেটাই মিলে যাচ্ছে। বাঁকুড়ার পর এবার হামলা হল আরামবাগে। শহিদ সমাবেশের সকালে বিজেপি কর্মীদের তাণ্ডবে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হুগলির আরামবাগ। শহরের বসন্তপুর এলাকায় তৃণমূলকর্মীদের বাস আটকানোরও চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তৃণমূলকর্মীদের বাসটিকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার সূত্রপাত্র শনিবার রাতে। কলকাতার আসার জন্য একটি বাসটি ভাড়া করেছেন আরামবাগ শহরের তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ, রাতে যখন সেই বাসটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে ফিরছিলেন শাসকদলের কর্মীরা, তখন আরামবাগ শহরের বসন্তপুরে তাঁদের উপর বিজেপি কর্মীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ। ঘটনায় দু’জন তৃণমূলকর্মী আহত হন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। রাতেই একজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। তখনকার মতো সমস্যা মিটে যায়। কিন্তু, রবিবার সকালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আরামবাগে।
অভিযোগ, এদিন সকালে যখন আরামবাগের বসন্তপুর থেকে বাস চেপে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা, তখন বিজেপি কর্মীরা এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে দেন অভিযোগ। ফের তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে আরামবাগের বসন্তপুরে যান এসডিপিও নিমাই দাস। কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তৃণমূলকর্মীদের বাসটিকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে আরামবাগে তৃণমূলকর্মীদের বাস আটকানো ও এলাকায় তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। এইভাবে রাজ্যের দিকে দিকে চলছে গেরুয়া তান্ডব। এইভাবে আটকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও তৃণমূল সমর্থকদের উচ্ছ্বাস কিছুতেই খামতি নেই।