ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে তৃণমূলের শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান৷ পৌঁছে গেছেন দলের নেতারা৷ গোটা বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এসেছেন এবং এখনও আসছেন৷ ধর্মতলা চত্বরে এখন শুধু মানুষের ভিড়৷
কড়া নিরাপত্তা মূল মঞ্চের সামনে৷ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে সভামঞ্চ। রয়েছে সিসি ক্যামেরা, বম্ব স্কোয়াড ও ডগ স্কোয়াডও দ্রোনেও চলবে নজরদারি।
সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে রয়েছেন উত্তরবঙ্গের ৬ জেলার প্রায় ৩৫,০০০ সমর্থক। তাদের ধর্মতলায় আনার জন্য ১৩৫টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তারা বাসে উঠে ধর্মতলার উদ্দেশ্য রওনা দিচ্ছেন। তৃণমূল কর্মীদের দাবি, রেকর্ড সংখ্যক সমর্থক জড়ো হবেন এবারের একুশের সমাবেশে।
সকাল থেকেই ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ মঞ্চের সামনে ভিড় করতে শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। সেন্ট্রাল পার্ক, আলিপুর, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম থেকেও সভা মঞ্চের উদ্দেশ্য যাত্রা করছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। শিয়ালদা-মৌলালি হয়ে আসছে মিছিল। মিছিল আসছে শ্যামবাজার থেকে। রাত থেকেই একাধিক রাস্তায় চলছে যান নিয়ন্ত্রণ। মিছিলেরর জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে রুট।
সকাল থেকে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল করে সভাস্থলে পৌঁছছেন সমর্থকেরা। কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া, হুগলিতেও কর্মীদের রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। এদিন সকালে এই জেলাগুলি থেকে কর্মীদের নিরাপদে সভাস্থলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দলের তরফে ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকছে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থাও। হুগলিতে জায়গায় জায়গায় দলের তরফে ক্যাম্প অফিস করা হয়েছে। কলকাতামুখো বাস, গাড়ি চলাচলে কোনও রকম অসুবিধা যাতে না হয়৷
রবিবার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজপথে মোতায়েম থাকবে ৫ হাজার পুলিশকর্মী। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা তৃণমূল কর্মীদের জন্য শহরের একাধিক জায়গায় অস্থায়ী আস্তানা তৈরি করা হয়েছে। মজুত রাখা হয়েছে কিউআরটি, ডিএমজি,অ্যাম্বুল্যান্স, ট্রমা ইউনিট। মোড়ে মোড়ে রয়েছে পিকেটিং। পরিষেবার নেতৃত্বে রয়েছে শীর্ষ কর্তারা।