আর্থিক বিলের আড়ালে সংসদে একগুচ্ছ আইনের সংশোধনী পাশ করিয়ে নেওয়ার ফন্দি এঁটেছে কেন্দ্র! মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এবার এমনই অভিযোগ তুলে সংসদে তোপ দাগলেন বিরোধীরা। কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, সপা, বসপা, আরএসপি-র তরফে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সংসদীয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধ্বংস করার অভিযোগ তোলা হল।
প্রসঙ্গত, গতকাল আর্থিক বিলে ছবি-সহ একাধিক আইনের সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়েছিল। এগুলির বেশিরভাগই আর্থিক
বিষয়ক আইন নয়। তা সত্ত্বেও বিশেষ উদ্দেশ্যে আর্থিক বিল হিসেবে সেগুলো সংশোধন করার প্রস্তাব আনা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
কারণ, আর্থিক বিল হিসেবে কোনও বিল আনা হলে তা স্ক্রটিনির জন্য কোনও কমিটিতে পাঠানোর প্রয়োজন হয় না। সংসদে বিস্তারিত আলোচনা ছাড়াই পাশ করা যায়। এমনকি, রাজ্যসভায় এই সংশোধনী পাস করা বাধ্যতামূলক নয়। নির্দিষ্ট সময় পর ধরে নেওয়া হয় যে, রাজ্যসভা অনুমান দিয়েছে। তাই বিরোধীদের অভিযোগ, সংসদকে এড়িয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করা হচ্ছে।
কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ যে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থব্যবস্থার কথা বলছেন, তার জন্য সরকারের কাছে নির্দিষ্ট পথনির্দেশ নেই। রাজস্ব ও ঘাটতির সত্যতা লুকানো হয়েছে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ও বাজেটের মধ্যে বিস্তর ফারাক। এসব কারণেই মোদী জমানায় কেন্দ্রীয় বাজেটের পবিত্রতা প্রশ্নের মুখে।
অন্যদিকে, অর্থ বিলের বিরােধীতা করতে গিয়ে আম্বানী, আদানিদের প্রসঙ্গ তুলে মােদী সরকারকে খোঁচা দেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। কালো টাকা নিয়ে সরকার কোনও তথ্য না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সৌগত বলেন, নোটবন্দীর জেরে দেশে কতগুলি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বন্ধ হয়েছে, তা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক সরকার। তাঁর অভিযোগ, মোদী সরকারের নতুন কর্পোরেট কর নিয়মে লাভবান হবে শুধুমাত্র আদানি, আম্বানীরা।