সারা ভারত জুড়ে যখন বিজেপি ও তাঁর শরিক দলের নেতা কর্মীরা গো-মাংস নিষিদ্ধ করতে উঠে লেগেছে, সেখানেই মোদী আমলের এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। দ্বিতীয় মোদী জামানায় সরকারের অন্যতম উদ্যোগ নিয়েছে যে চীনে গো-মাংস রপ্তানি করা। যা রীতিমতো উলটপুরান। মোদী জামানায় রপ্তানিকারি পশুদের পা ও মুখের বিশেষ রোগের চিকিৎসার জন্য ১৩ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন করেছেন।
বিগত দিনে এই রোগের জন্যই চীন ভারত থেকে গো-মাংস আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিল। তাই সেই রপ্তানি পুনরায় চালু করার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে মোদী সরকার। বিশ্বের সব থেকে বড় গোরুর মাংস আমদানীকারী দেশ চীনের সঙ্গে এই নিয়ে চুক্তি করল ভারত। কম দামে ভাল মাংসের সুবাদে সারা এশিয়াতে ভারতীয় গোরুর মাংসের চাহিদা শীর্ষে। বর্তমানে এই রোগের কারণে মাংস রপ্তানিতে পিছিয়ে পরেছে ইউরোপ। ভারতে বিদেশী মুদ্রা আমদানীর অন্যতম উপায় গোরুর মাংস রপ্তানী।
পশুচিকিৎসকদের মতে, খুব শীঘ্রই তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশকে এই রোগ মুক্ত অঞ্চল বলে ঘোষনা করা হবে। যে সব দেশগুলিতে এই রোগের জন্য মাংস রপ্তানি বন্ধ ছিল সেখানে আবার রপ্তানি শুরু কপ্রা যেতে পারে বলে সূত্রের খবর। সারা পৃথিবীতে যে পরিমাণ গরু রপ্তানি হয় তার শীর্ষে ভারত। সূত্র থেকে জানা যায়, গেরুয়া সরকারের আমলেই সবথেকে বেশি অনৈতিকভাবে গরু পাচার হয়েছে ভারত থেকে। অথচ, ভারতের অভ্যন্তরে সাম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরি হয় এই ‘গো-মাতা’কে ঘিরে। গোমাংস থাকা, বিক্রি বা খাওয়ার সন্দেহে পিটিয়ে মারা হচ্ছে কিছু মৌলবাদী, উগ্রবাদী, কট্টরপন্থী গ্রুপের দ্বারা।