সবে তখন সেরেনা উইলিয়ামসের বিরুদ্ধে ম্যাচটা শেষ করেছেন সিমোনা হালেপ। কোর্টে হাঁটু গেড়ে বসে মাথায় র্যাকেট-সহ হাত তুলে সেলিব্রেট করছেন, হাসছেন। বিহ্বল তিনি। গোটা গ্যালারি তখন উঠে দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছে তাঁকে। এর পরই তিনি ট্রফি নিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে এলেন। সে সময়ই আর এক কিংবদন্তি রোমানিয়ান জিমন্যাস্ট নাদিয়া কোমানেচির টুইট, ‘হোয়াট আ ফাইনাল। ফেলিসিতারি সিমোনা হালেপ। বেস্ট ম্যাচ এভার।’
রোমানিয়ার সিমোনা হালেপ ৬-২, ৬-২-এ মার্কিন-কিংবদন্তিকে হারিয়ে নতুন উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হলেন। প্রথম সেট মাত্র ২৬ মিনিটে জিতে নিয়েছিলেন হালেপ। দ্বিতীয় সেটে সেরিনা ফিরে আসবেন, সেটাই ধরে নিয়েছিলেন সবাই। কিন্তু, দ্বিতীয় সেটেও প্রথম সেটেরই প্রতিফলন। হালেপের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না সেরেনা৷
এর আগে ফরাসি ওপেন জিতেছিলেন হালেপ। এ বার উইম্বলডনে চ্যাম্পিয়ন হয়ে হালেপ তাঁর মায়ের স্বপ্ন পূরণ করলেন। যে দিন থেকে হালেপ টেনিস খেলা শুরু করেছিলেন, সে দিন থেকেই তাঁর মা স্বপ্ন দেখতেন, কবে তাঁর মেয়ে খেতাব জিতবেন উইম্বলডনে। সেন্টার কোর্টে হালেপ যখন লড়ছেন সেরিনার বিরুদ্ধে, তখন স্ট্যান্ডে উপস্থিত হালেপের মা। মায়ের সামনেই মেয়ে হারিয়ে দিলেন সেরিনার মতো এক কিংবদন্তিকে। এর আগে তিন বার কোর্টকে ছোঁয়ার সুযোগ এসেছিল সেরিনার সামনে। তিনি পারেননি। এ দিনও পারলেন না।
হালেপের আগ্রাসী টেনিসের কাছে হার মানলেন মার্কিন-তারকা। খেলার শেষে সেরিনা বলেন, ‘‘আজ অতি মানবিক টেনিস খেলেছে হালেপ। ওর আক্রমণাত্মক টেনিসের সামনে আমি দাঁডা়তেই পারিনি।’’
হালেপ-সেরেনার লড়াই যখন তুঙ্গে, তখন টুর্নামেন্টের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটের তরফে একটি টুইট করা হয়। সেখানে বলা হয়, ২০১১ সালে সেরেনার মুখোমুখি হয়েছিলেন হালেপ। তখন তিনি ১৯। দ্বিতীয় রাউন্ডের সেই লড়াই হালেপ নিয়ে যান তৃতীয় সেটে। সে যাত্রায় সেরেনাই চ্যাম্পিয়ন হন। শনিবার উলট পুরাণ। সেরেনাকে উড়িয়ে উইম্বলডনের নতুন রানি হালেপ।