মানুষের থেকে যে গরুকেই বেশি প্রাধান্য দেয় যোগী সরকার, তা আজ আর কারও অজানা নেই। যোগীর রাজ্যে রাস্তার গরুদের জন্য রয়েছে অস্থায়ী ‘গোবংশ আশ্রয়স্থল’। চালু হয়েছে ‘গো-কল্যাণ সেস’ও। এমনকী কাজের ফাঁকে গোমাতাকে চারা খাওয়ানো প্রধান কাজ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। মানুষ নয়, তাঁর কাছে আগে গোমাতা। কিন্তু সেই যোগী রাজ্যের গোশালাতেই এবার মারা গেল ৩৫টি গরু! তাও আবার একইদিনে! সঙ্কটজনক অবস্থায় চিকিত্সা চলছে আরও বেশ কিছু গরু-বাছুরের।
শুক্রবার প্রয়াগরাজের কান্দি গ্রামের একটি অস্থায়ী গোশালায় এই ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে জানা গিয়েছিল, গোশালার অবস্থা খুব ভাল ছিল না। জোরে বৃষ্টি হচ্ছিল। আর খোলা জায়গায় থাকায় গরুগুলিকে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। সেই সময় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে মৃত্যু হয় তাদের। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, গত দু’তিনদিনে প্রয়াগরাজে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিই হয়নি। উল্টে গোশালার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশই গরুগুলির মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
তাঁদের অভিযোগ, গরুগুলিকে ঠিক মতো খেতে দেওয়া হয় না। দেওয়া হয় না জলও। স্থানীয় প্রশাসন সঠিক পরিসংখ্যান দেয়নি বলেও দাবি করেন তাঁরা। অভিযোগ, ৩৫টি গরুর মৃত্যু হয়নি। বরং সংখ্যাটা অনেক বেশি। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে, ভুয়ো তথ্য প্রকাশ করেছে যোগীর প্রশাসন। তবে প্রয়াগরাজে এক সঙ্গে এত সংখ্যক গরু মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। গত সপ্তাহেই কনৌজ জেলার জালালাবাদের একটি গোশালায় অনাহারে মৃত্যু হয় বেশ কিছু গরুর। এই ঘটনার প্রতিবাদে গোশালার বাইরে বিক্ষোভও দেখান সাধারণ মানুষ। প্রয়াগরাজের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মুখ পুড়েছে যোগী সরকারের। তবে একসঙ্গে তাঁর এত ‘গোমাতা’র মৃত্যুর পর এখনও অবধি মুখ খোলেননি আদিত্যনাথ।