দেশ জুড়ে বিজেপির ভাগাভাগির রাজনীতির মোকাবিলা করতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে একজোট হয়ে প্রস্তাব আনার পাশাপাশি ৪৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারি মালিকানার কাছে বিক্রি করার সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেও সর্বসম্মত প্রস্তাব পেশ করল সরকার পক্ষ এবং বিরোধীরা।
এই ৪৬টি সংস্থার মধ্যে ব্রিজ অ্যান্ড রুফ, বার্ন স্ট্যান্ডার্ড, বেঙ্গল কেমিক্যাল, অ্যালয় স্টিল প্লান্ট মতো ১০টি সংস্থা রয়েছে বাংলায়। স্বভাবতই এ রাজ্যের স্বার্থ বজায় রাখতে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামপন্থীদের আনা এই সর্বদলীয় প্রস্তাব গৃহীত হয়। গতকাল প্রস্তাবের পক্ষে বিস্তারিত ভাষণ দেন মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা।
তাঁদের সকলেরই এক দাবি, বিজেপি বিধায়করা এই প্রস্তাবে অংশ নেননি। কিন্তু দিল্লীতে এ রাজ্য থেকে তো তাদের ১৮ সাংসদ গেছে। এ রাজ্যের ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত লাভজনক কারখানা বিক্রি করে দেওয়া হবে, অথচ তাঁরা চুপ করে বসে আছেন কী করে? এ রাজ্যে জিতবেন অথচ এ রাজ্যের মানুষের স্বার্থ দেখবেন না, তা কী করে হয়?
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, মোদী সরকার বলছে তারা সরকার চালাবে, ব্যবসা চালাবে না। যে সংস্থার সঙ্গে লাখ লাখ শ্রমিকের রুটিরুজি জড়িত, সেখানে সরকারের কোন দায় নেই! তাহলে সরকার কি জন্য আছে? পার্থ বলেন, মানুষকে অসহায় করে দিয়ে লাভজনক সংস্থাকে বিক্রি করে দেবে, আর সেই টাকা নিয়ে নীরব মােদীরা বিদেশে পালাবে, এটা চলতে দেওয়া যায় না।
সরকার-বিরোধী দু’পক্ষেরই মত, বিনা প্রতিবাদে ৪৬টি লাভজনক সংস্থা বিক্রি করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে কর্পোরেটের স্বার্থ, দেশের স্বার্থ নয়। পাশাপাশি এ রাজ্যের মাদার ডেয়ারি, মেট্রো ডেয়ারি, কলকাতা ট্রাম কোম্পানির জমি ইত্যাদি নিয়ে এই সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করা উচিত। যেখানে মানুষের স্বার্থ জড়িত।