দলের সভাপতি পদে রাহুলকে রাখার জন্য চেষ্টার কসুর করেননি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। বহুবার বৈঠকে বসেছেন তাঁর সঙ্গে। এমনকি দলের কর্মী-সমর্থকরাও রাহুলকেই চেয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতির পদে। তিনি যাতে দলের সভাপতি পদের দায়িত্ব না ছাড়েন, সে জন্য গত কয়েকদিন ধরে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের দফতরে ধর্না চলছে। দলের বিভিন্ন রাজ্য সংগঠন ও কেন্দ্রীয় সংগঠনের অনেক নেতা ইতিমধ্যে ইস্তফা দিয়েছে। কিন্তু যাকে নিয়ে এত কান্ড, সেই রাহুল কি বলছেন? তিনি কিন্তু এখনো নিজের সিদ্ধান্তে অনড়।
এদিন সনিয়া পুত্র স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তিনি আর কংগ্রেস সভাপতি পদে ফিরছেন না। তাঁর কথায়, “আমি আর কংগ্রেসের সভাপতি নই। ইস্তফা দিয়েছি। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির উচিত হবে যত দ্রুত সম্ভব বৈঠক ডেকে পরবর্তী সভাপতি নির্বাচিত করা।”
পর্যবেক্ষকদের মতে, বুধবার রাহুল যে কথা বলেছেন তার পর আর কোনও অনুনয় বিনয়ে কাজ হবে বলে মনে হচ্ছে না। সেটা কংগ্রেসের অন্য নেতাদেরও বুঝতে হবে। তাই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকে যত দ্রুত নতুন সভাপতি নির্বাচন করতে হবে। নইলে আরও ক্ষতি হয়ে যেতে পারে কংগ্রেসের। শোনা যাচ্ছে, নতুন সভাপতি বাছাই না করা অবধি অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হতে পারেন মতিলাল ভোরা।
এই পরিস্থিতিতে দৃশ্যতই সংকটে পড়েছে কংগ্রেস। দলের শীর্ষ নেতাদের একাংশ মনে করছেন রাহুল সভাপতি পদে না থাকলে কংগ্রেস পার্টিটাই ধরে রাখা যাবে না। ভেঙে আরও টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। তবে রাহুল ঘনিষ্ঠদের মতে, রাজনীতি নিয়ে রাহুল গান্ধীর যেমন রোম্যান্টিকতা রয়েছে, তেমন সততাও রয়েছে। রাহুল হয়তো বুঝতে পারছেন, তাঁর নেতৃত্ব দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। অথবা হতে পারে দেশের জনগণ পরিবারতন্ত্রের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করা শুরু করেছেন। ফলে তিনি সভাপতি পদে থাকলে দলেরই ক্ষতি হবে।