এ এমন এক সংঘাত যে সংঘাতে রক্তক্ষরণ নেই। এই সংঘাত ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তণ অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে। ম্যাঞ্চেস্টারে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিরাট কোহালিদের সেমিফাইনাল টিকিট প্রায় নিশ্চিত হওয়ার দিনে সে-রকমই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মনে হতে শুরু করেছে, নতুন সংঘাতের সুর তৈরি হয়ে যাচ্ছে না তো? যার এক দিকে দু’হাজারের সেই সোনার প্রজন্ম। শচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণ, বীরেন্দ্র সহবাগদের যুগ। অন্য দিকে ধোনি-কোহালিদের প্রজন্ম। সামনাসামনি না হলেও টুকরো-টাকরা অসি যুদ্ধের ঝনঝনানি কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
শচিন তেন্ডুলকর স্বয়ং সাউদাম্পটনে ধোনির মন্থর ইনিংসের সমালোচনা করেছিলেন। ধোনি এ দিন হাফসেঞ্চুরি করে দেওয়ার পরে ম্যাচ শেষে কোহালি জোরালো ভাবে তাঁর অগ্রজের পাশে দাঁড়ালেন। বললেন, “সকলের খারাপ দিন যায়। ধোনির একটা দিন খারাপ গেলেই প্রত্যেকে কথা বলতে শুরু করে দেয়। আমরা জানি ধোনি কত বড় কিংবদন্তি। কত ম্যাচ ও আমাদের জিতিয়েছে”। বিশ্বকাপের মধ্যে যে দুই প্রজন্মে টক্কর লেগে যেতে পারে, তা অবশ্য আগে থেকে বোঝা যায়নি। কুম্বলের পদত্যাগ এবং শাস্ত্রীর প্রত্যাবর্তনের ঘটনাও অতীত হয়ে গিয়েছে। ধোনি যে মন্থর খেলছেন এবং অতিরিক্ত সাবধানী হয়ে থাকছেন, সেই বিশ্লেষণ থেকে শচিন সহজে সরে আসবেন বলে মনে হয় না। আবার ধোনিদের দলের অন্দরমহলে চলছে এই বিশ্লেষণ যে, উইকেট বুঝে আমরা খেলছি এবং ঠিকই করছি। শচিন, সৌরভ, লক্ষ্মণ, সহবাগদের প্রজন্ম এখন কমেন্ট্রি বক্সে।
বিশ্ববিখ্যাত ক্রিকেট লিখিয়ে নেভিল কার্ডাস বলেছিলেন, “সে ক্রিকেটের কী বা বোঝে যে শুধু ক্রিকেট বোঝে”। তাই যে মানুষটা ভারতীয় ক্রিকেটকে বিশ্বের দুনিয়ায় এতো মান দিয়েছেন, তিনি তাঁর ক্রিকেট জীবনে কবে অবসর নেবেন, কি করবেন, কত দিন খেলবেন তা তাঁর উপর ছেড়ে দেওয়া ভাল। তা নিয়ে নেটিজনের মাথা ব্যথা হওয়ার দরকার নেই। সংঘাতের ও দরকার নেই।