বেশ কিছুদিন আগেই মাওবাদী হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ছত্তিশগড়। এদিন সাতসকালে ফের মাওবাদী হামলায় অশান্ত হয়ে উঠল ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলা। যৌথ বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় গুলির লড়াইয়ে দুই সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হয়েছেন বলে খবর। চলছে গুলির লড়াই।
গোপন সূত্রে খবর আসে, ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলার কেশকুতুল ও চোলপাড়ার ভিতরে বিস্তীর্ণ গভীর জঙ্গলে মাওবাদীরা আস্তানা গেড়ে রয়েছে। শুক্রবার সাতসকালে সিআরপিএফ ও ছত্তিশগড়ের পুলিশের যৌথবাহিনী তল্লাশি অভিযান চালায় ওই এলাকায়। সেই সময় যৌথবাহিনীর উপর অতর্কিতে হামলা চালায় মাওবাদীদের দলটি। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ সংঘর্ষ চলে। সেনা সূত্রে খবর, গুলির লড়াইয়ে দুই সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হয়েছে। সংঘর্ষের মাঝে পড়ে প্রাণ গেছে এক গ্রামবাসীরও। এলাকা ঘিরে ফেলেছে বিশাল সেনাবাহিনী।
গত বছর বিজাপুরেই বড়সড় সাফল্য পেয়েছিল তেলঙ্গানা ও ছত্তিশগড় পুলিশ। যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক শীর্ষ নেতা-সহ ১০ মাওবাদী খতম হয়। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে নিহত হন এক পুলিশকর্মীও। পুলিশ জানায়, ওই মাওবাদী নেতার নাম ছিল হরিভূষণ। যে দশ মাওবাদী নিহত হয়েছিল, তাদের মধ্যে ৬ জনই মহিলা। যেখানে গুলির লড়াই হয়, সেই জায়গা থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
মাওবাদী-সেনা গুলির লড়াইয়ে যখন উত্তপ্ত বিজাপুর, প্রায় একই সময় ছত্তিশগড়ের রাজনন্দগাঁওতে মাওবাদী ক্যাম্প ওড়াল সেনাবাহিনী। মহারাষ্ট্র সীমান্তের কাছে রাজনন্দগাঁওতে দীর্ঘদিন ধরেই ঘাঁটি গেড়েছিল মাওবাদীরা, এমন খবর পেয়েই এ দিন সকালে এলাকা ঘিরে ফেলে ২৭ ব্যাটেলিয়ান ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ ও সেনার যৌথবাহিনী। শুরু হয় গুলির লড়াই। সংঘর্ষে মাওবাদী ক্যাম্প ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে বলে সেনা ও পুলিশ সূত্রে খবর। হতাহতের খবর এখনও মেলেনি।