ক্ষমতায় আসার পরে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থার হাল আমুল বদলে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আগের তুলনায় এখন বাংলাতেই অনেক বেশি সুযোগ মেলে শিক্ষার জন্য৷ এই একই কথা বললেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের কৃতীদের উদ্দেশ্যে পার্থ বললেন, “এই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়াশোনার যথেষ্ট সুযোগ পরিকাঠামো আছে৷ কিসের জন্য বাইরে যাবে?” গতকাল অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রফেশনাল অ্যাকাডেমিক ইনস্টিটিউশনের উদ্যোগে প্রি কাউন্সেলিং মেলার উদ্বোধনে তিনি বলেন, “এ রাজ্যে প্রচুর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের পঠনপাঠন হয়। এ রাজ্যে চাকরিরও অনেক সুযোগ রয়েছে”।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সরকার শিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজ করছে। পরিকাঠামো, পঠনপাঠন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে কেন আমরা বাইরে যাব? আমাদের পড়ুয়াদের মেধা আছে। এখানকার প্রতিষ্ঠানগুলির মানও খুবই উঁচু। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানই মেধাবী অথচ আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের পাশে দঁাড়ায়। সরকারের তরফেও অনেক বৃত্তির ব্যবস্থা আছে। যদি কেউ আর্থিক কারণে পড়তে না পারেন আমাদের কাছে আসুন।’ এদিন আপাই–এর ‘হোয়াট নেক্সট, কেরিয়ার অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন অপারচুনিটিজ ইন বেঙ্গল’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, তাঁর দফতর এবং ম্যাকাউট যৌথভাবে ‘পেটেন্ট’ কীভাবে নিতে হয় সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে। মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের রাজ্যেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখাপড়া যেমন করা যাচ্ছে তেমনি চিকিৎসাও হচ্ছে।’ মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, ‘এই মেলার মাধ্যমে পড়ুয়ারা কী পড়বেন এবং কীভাবে জীবন গড়ে তুলবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ পাবেন।’
কৃতীদের রাজ্যে পড়াশোনায় আগ্রহী করে তোলার পাশাপাশি সরকারি এবং বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিকেও এই বিষয়ে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। জানিয়ে দেন, “ শিক্ষার্থীরা কেন এ রাজ্যে পড়তে চাইছে না তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে হবে। নজর রাখতে হবে কোনও পরিকাঠামোগত ত্রুটি আছে কিনা? যদি থাকে তা অবিলম্বে ঠিক করতে হবে। এক্ষেত্রে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ইনডাকশন প্রোগ্রাম বা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের মধ্যে দিয়ে কলেজগুলিকে আরও উন্নত করতে হবে”।