যতদিন পর্যন্ত রাজ্যকে কেন্দ্রীয় সরকার অ্যাডভাইসরি পাঠাতে থাকবে ঠিক তত দিন পর্যন্ত তৃণমূলও কেন্দ্রের কোনও বৈঠকে অংশ নেবে না৷ একদিকে কেন্দ্র সকলের সহযোগিতা চাইবে, অন্যদিকে আবার তারাই রাজ্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে, দুটো একসঙ্গে চলতে পারে না৷ শুক্রবার লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় পরিস্কারভাবে তৃণমূলের এই অবস্থানের কথা জানিয়ে দেন।
সৌগত এটাও জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী যে দলের সভাপতিদের বৈঠক ডেকেছিলেন, তাতে একটা আলোচ্য বিষয় ছিল, এক দেশ, এক নির্বাচন৷ তৃণমূলের এই প্রস্তাবে নীতিগত আপত্তি রয়েছে৷ তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তুতির জন্যও যথেষ্ট সময় দেয়নি৷ সরকার বরং এই বিষয়ে একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক৷ কিন্তু তৃণমূলের আসল আপত্তি যে অ্যাডভাইসারি পাঠানো সেটাও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷
জিরো আওয়ারে তিনি যা বলেছেন, তার মোদ্দা কথা হল, বাংলায় বিরোধ এবং কেন্দ্রে সহযোগিতার নীতি তৃণমূলের কাছে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ সে কারণে তাঁরা এ ভাবে বৈঠক বয়কটের নীতি নিয়েছেন৷ তাই প্রধানমন্ত্রীর ডাকা দলের সভাপতিদের বৈঠকে যোগ দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তারপর বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ডিনারও তাঁরা বয়কট করেছে৷
লোকসভা সাংসদ মহুয়া মৈত্র শুক্রবারই জিরো আওয়ারে নমো টিভি-র প্রসঙ্গ তুলেছেন৷ তিনি বলেছেন, লোকসভা ভোটের সময় প্রচারের উদ্দেশ্য নিয়ে একটি চ্যানেল আত্মপ্রকাশ করে৷ তাদের ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল, কল্যাণমূলক পরিকল্পনাগুলি সম্পর্কে লোককে অবহিত করানো৷ কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল এই টিভি চ্যানেল চালাচ্ছিল৷ ভোটের পরই নমো টিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রকের কাছে তাঁর আর্জি, আইনের ফাঁকগুলি যেন তিনি বন্ধ করেন, যাতে ক্ষমতাসীন দল কোনওরকমভাবে তার অপব্যবহার না করতে পারে৷