এবার প্রশিক্ষণের জন্য বিমান কেনায় দূর্নীতির অভিযোগ উঠল। সিবিআই মামলা দায়ের করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, বিমানবাহিনী, অস্ত্র-দালাল সঞ্জয় ভাণ্ডারী ও বিদেশি সংস্থাটির জনাকয়েক কর্তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, ২০১২ সালে সুইৎজারল্যান্ডের একটি সংস্থা ‘পিলাতাস এয়ারক্র্যাফ্ট’-এর কাছ থেকে বিমানবাহিনীর জন্য ৭৫টি প্রশিক্ষণের বিমান কেনার চুক্তি করে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সরকার। সে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সঞ্জয় ভাণ্ডারীর। ওই বিমান কেনার সময় ৩৩৯ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয় বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ।
বহুদিন ধরেই এই চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছিল সিবিআই। শুক্রবার সিবিআই আধিকারিকরা দিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায় অভিযুক্ত সঞ্জয় ভাণ্ডারি–সহ অন্য বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের বাড়িতে অভিযান চালায়। আগামী কয়েকদিনে আরও কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হতে পারে বলে খবর। সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় সিবিআই দক্ষিণ দিল্লির পঞ্চশীল পার্কের অস্ত্রবিক্রেতা সঞ্জয়ের মালিকানাধীন অফসেট প্রিন্টারের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর সংস্থা সুইস বিমান কোম্পানির হয়ে কী কাজ করত, তা জানতে চাইছেন গোয়েন্দারা।
সুইস সংস্থার থেকে যে বিমানগুলি কেনা হয়েছিল, তাতে নতুন ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর আগে ভারতে বানানো এইচটিপি–৩২ বিমানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। কিন্তু সেই বিমানগুলি খারাপ হয়ে যাওয়ায় বিদেশ থেকে নতুন ট্রেনার এয়ারক্রাফট কেনা হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ২০১২ সালে ৭৫ টি বিমান কেনার জন্য ২৮৯৬ কোটি টাকার চুক্তি করেন। তখন অন্যান্য কয়েকটি বিমান সংস্থা অভিযোগ করেছিল, ওই চুক্তিতে অনিয়ম হয়েছে। আর তারপরই সিবিআই তদন্ত শুরু করেছিল।