খানিকটা ফণীর মতই অবস্থা হল বায়ুর৷ ফণী যেমন কলকাতায় কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি ঠিক তেমনই বায়ুর প্রভাবও পড়ল না গুজরাতে৷ হাওয়া অফিসের খবর অনুযায়ী আজই গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা ছিল ঘূর্ণিঝড় বায়ুর৷ কিন্তু হাওয়া অফিস জানান দিল অভিমুখ পরিবর্তন হয়েছে তার৷ অন্যদিকে ঝোড়ো হাওয়ায় মুম্বইতে হোর্ডিং ভেঙে প্রাণ হারালেন ১ব্যক্তি৷
হাওয়া অফিস জানাল, গুজরাট উপকূল নয়, বরং গতিপথ বদলে ক্রমশ সমুদ্রের দিকে সরে যাচ্ছে ‘বায়ু।’ সেই সঙ্গে কমছে তার শক্তিও। ফলে স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কম।
সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম ‘বায়ু’ ক্রমশই তার শক্তি হারিয়ে সাইক্লোনিক স্টর্মে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। তবে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। সেই সঙ্গে থাকবে ঢেউয়ের দাপট। ঘূর্ণিঝড় অভিমুখ বদলালেও চূড়ান্ত সতর্কতা জারি থাকবে সৌরাষ্ট্র, কচ্ছের পোরবন্দর এলাকায়। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে কড়া নজর রেখেছিল নৌসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। বুধবারের সকাল হতেই মিলল অন্য খবর। দিল্লীর হাওয়া অফিস জানাল, গুজরাট উপকূল নয়, বরং গতিপথ বদলে ক্রমশ সমুদ্রের দিকে সরে যাচ্ছে ‘বায়ু।’ সেই সঙ্গে কমছে তার শক্তিও। ফলে স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কম।
সরকারি সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় তার অভিমুখ বদলালেও, সতর্ক রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। উদ্ধার কাজ এবং ত্রাণশিবিরের ব্যবস্থা যাতে ঠিক ভাবে সে জন্য এনডিআরএফ-এর ৫২টি দল এর মধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে গুজরাটে। প্রতি দলে ৪৫ জন করে কর্মী রয়েছেন। উদ্ধারকাজের জন্য তৈরি রয়েছে বিশেষ নৌকা। রয়েছে গাছ কাটার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি৷
ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বুধবার থেকেই বাতিল হয়েছে ৭০টি ট্রেন। আরও ২৮টি ট্রেনের যাত্রাপথে পরিবর্তন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৩ লক্ষ লোককে গুজরাত উপকূল থেকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১০ হাজার লোককে দিউ থেকেও নিয়ে যাওয়ায় হয়েছে অপেক্ষাকৃত উঁচু এবং নিরাপদ স্থানে। মঙ্গলবার সন্ধে ৬টা থেকেই শুরু হয়েছে রেল পরিষেবার এই বাতিল প্রক্রিয়া।