আরো একবার অস্বস্তি বাড়ল গেরুয়া শিবিরে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের পর এবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বলান্দশহরের বিজেপি সাংসদ ভোলা সিং৷ তাঁর মতে, ‘‘কোনও ধর্ম বা সম্প্রদায়ের উৎসব যেন অন্যের কাছে অসুবিধার কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে৷ হিন্দুরা হোলি, রাখি, দিওয়ালী পালন করে৷ কিন্তু সেই সব উৎসব ঘিরে অন্যদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় না৷ যদি কোনও ধর্মের উৎসব অন্যদের অসুবিধায় ফেলে তাহলে তা না করাই উচিত৷ ভক্তি দেখানোর জন্য নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে৷ রাস্তা বন্ধ করে প্রার্থনা করা যায় না৷ এই ধরণের কাজ ভুল হচ্ছে৷’’
৩০ দিনের রোজা শেষে আজ ঈদ৷ মসজিদ, ঈদগাহ সহ বিভিন্ন আঞ্চলে নামাজ পাঠ করছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা৷ তার আগে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন পদ্ম শিবিরের সাংসদ ভোলা৷ তাঁর নিশানায় যে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তা স্পষ্ট৷ বিতর্কিত মন্তব্যের তালিকায় নাম রয়েছে বেগুসরাইয়ের বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়েরও৷ বুধবার খুশির ঈদ৷ মঙ্গলবারই ছিল শেষ ইফতার৷ হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চার নেতা জিতান রাম মাজির ডাকে আয়োজিত হয় ইফতার পার্টি৷ যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান৷
ইফতারের সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিজেপি নেতা তথা বেগুসরাইয়ের সাংসদ গিরিরাজ সিং৷ পোস্টে তিনি লেখেন, “যদি নবরাত্রিতেও সমান উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে আয়োজন করা হত ও ছবি তোলা হত, তাহলে কতই না ভালো হত। নিজেদের ধর্ম-কর্মে আমরা কেন পিছিয়ে পড়ি? আর দেখনদারিতে এগিয়ে থাকি”।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভাতেই ছিল বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণের তাস। যদিও এই ঘটনায় অমিত শাহ অনেক উপদেশ দিয়েছেন। কিন্তু যতই যা বলা হোক, বিজেপির ধর্মীয় উগ্রতাবাদের ব্যাধির শিকড় তো গভীরে পৌঁছেছে।