ইফতারের সন্ধ্যায় এক অন্য আবহে সেজেছে কলকাতা। রমজান মাস মানেই জমজমাট জাকারিয়া স্ট্রীট। নিউ মার্কেট, পার্ক সার্কাস, জাকারিয়া স্ট্রিট, মল্লিকবাজার, খিদিরপুর, রাজাবাজার বা মেটিয়াবুরুজ— ভিড়ের ছবি সর্বত্র একই। ঝলমলে সন্ধ্যায় ইদের প্রস্তুতিতে রীতিমতো সেজে উঠেছে তিলোত্তমা। চাঁদনি চক থেকে মেটিয়াবুরুজ, খিদিরপুর, পার্ক সার্কাসের অলিতে গলিতে পেঁয়াজ-রসুন চর্চিত মাংস কষার সুঘ্রাণ। ফিয়ার্স লেন, কলুটোলার দিক থেকে জাকারিয়া স্ট্রিট— নাখোদা মসজিদের পাড়ায় সুরভিত সুখাদ্যের হাতছানি।
আর যাই হোক, রমজানের কলকাতা তার নিজস্ব বৈচিত্র্যে, আমেজে অনন্য। কোথাও গরম তেলে পুর ভরা আলু বা পেঁয়াজ ছাড়ার ছ্যাকঁ-ছোঁক শব্দ, কোথাও বা শিকে গুঁজে ডুমো ডুমো মাংস আগুনের আঁচে সেঁকে নেওয়ার প্রস্তুতি। রমজান বলতেই থকথকে ডালের মধ্যে মাংস ভাসিয়ে হালিম-প্রীতি জেগে ওঠে শহরবাসীর। তিলোত্তমার হালিম মানচিত্রে একচেটিয়া জায়গা করে নিয়েছে পার্ক সার্কাস, জাকারিয়া, খিদিরপুর। রমজান মাস এবং মহরম মাস— বছরের এই দুই সময় ধরে রান্না হয় হালিম। এ দেশে হালিম তৈরি হয় মূলত বিফ, চিকেন এবং মাটন দিয়েই। তা ছাড়া নিরামিষ হালিমও রয়েছে। দুধেল সরের প্রলেপ জড়ানো রমজানি শাহি টুকরা, ফিরনিও সেখানে বড় সুমধুর।
মোটমাট স্লগ ওভারে এখন জমজমাট শহরের ঈদের বাজার। নিউ মার্কেট, পার্ক সার্কাস, জাকারিয়া স্ট্রিট, মল্লিকবাজার, খিদিরপুর, রাজাবাজার বা মেটিয়াবুরুজ— ভিড়ের ছবি সর্বত্র একই। নতুন কেনা সালোয়ার কামিজের সঙ্গে চুড়ি ‘ম্যাচ’ করল কি না, কাবাব চাখতে চাখতেই পরখ করে নিচ্ছেন কলেজের তরুণীরা। ‘ম্যাচিং’ টুপি এবং বাহারি খুশবু আতরের দোকানেও ভিড় প্রচুর।