আগামীকাল টেন্ট ব্রিজে ২২ গজের লড়াইতে মুখোমুখি চলেছে অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই ক্রিকেট-মহারণের আগে অস্ট্রেলিয়া শিবির তৈরি করছে গেলকে কম রানে ফেরানোর ছক। এই কাজে বড় দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা জেসন বেহরেনডর্ফের।
প্রথম ম্যাচ থেকেই ছন্দে ছিলেন ক্রিস গেইল। তিনি ফর্মে থাকলে কী হবে, বলা কঠিন। শেষ ২৩টা ইনিংসে প্রতি ১০ বল অন্তর একটা করে ছক্কা মেরেছেন তিনি। তাই কালকের ম্যাচ জিততে গেলে ক্যারিবিয়ান দৈত্যকে রুখতেই হবে বলে মনে করছে অস্ট্রেলিয়া। তাই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের পরেই অস্ট্রেলিয়া দলকে সতর্ক করেছেন প্রাক্তন বিশ্বজয়ী অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ ওয়। কারণটা অবশ্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যারা এ বারের বিশ্বকাপে সেই ক্লাইভ লয়েডের দলের মতোই ঝলমলে। বলে আগুন ঝরিয়ে পাকিস্তানকে হারিয়েছে।
স্টিভ বলছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাধিক ম্যাচ উইনার রয়েছে। যারা যে কোনও সময় ম্যাচ বের করে দিতে পারে। ওদের যা ব্যাটিং লাইন আপ, তাতে ওদের ম্যাচ দেখাটা যে কোনও সময়ই উপভোগ্য। ওদের মারাত্মক শক্তি দিয়ে যে কোনও বোলিং অ্যাটাক দিয়ে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে।’ একটু থেমে সংযোজন, ‘ওরা যদি ঠিক মতো ব্যাট করতে পারে, তা হলে ওদের কাছে কোনও মাঠই যথেষ্ট বড় নয়। একই সঙ্গে ওদের বোলিং বিভাগও যথেষ্ট শক্তিশালী।’
ক্লাইভ লয়েড আবার মনে করছেন, ‘আমি দেখতে চাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের উপর চাপ পড়লে কী হবে? অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওরা কী রকম খেলছে, সেটাই বলে দেবে বিশ্বকাপে ওরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। অস্ট্রেলিয়ার খুব ভালো কিছু ব্যাটসম্যান এবং বোলার রয়েছে। তাই এটা খুব ভালো একটা ম্যাচ হতে চলেছে। ওদের পাকিস্তান ম্যাচের মতো নতুন কিছু ভাবতে হবে। ওই ম্যাচটাই বলে দেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোয়ালিফাই করবে কি না।’
অস্ট্রেলিয়া বোলিং বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য প্যাট কামিন্স ক্যারিবিয়ানদের মুখোমুখি হওয়ার আগেই গেলকে উদ্দেশ্য করে শুরু করে দিয়েছেন মাঠের বাইরের বাক্যুদ্ধ। যা অস্ট্রেলীয়দের চিরাচরিত অস্ত্র। নিজেকে দেওয়া গেলের ‘ইউনিভার্স বস’ নামকে কটাক্ষ করে কামিন্স বলছেন, ‘‘মিস্টার ওয়ার্ল্ডওয়াইড না কী নামে যেন নিজেকে ডাকে! তার বিরুদ্ধে খেলাটা সব সময়েই চ্যালেঞ্জ। দারুণ ব্যাটসম্যান। খেলতে নামলেই তো ছক্কা মারে।’’
বিশ্বজয়ীদের বিরুদ্ধে ৩১টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৩ সালে শেষ ওয়ান ডে সিরিজে গেইল ৮০২ রান করেছেন, গড় ২৬.৭৩। যা তাঁর কেরিয়ারের গড়ের (৩৮.২) থেকে বেশ কম। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনি কোনও সেঞ্চুরিও পাননি। ট্রেন্ট ব্রিজে কি সেই পরিসংখ্যান বদলাবে? উত্তর পাওয়া যাবে আগামীকাল।