গত ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে বাংলায় আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। এ রাজ্যে তারা যেভাবে শাসক দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, এবং জাতীয় স্তরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে ধরনের ভাবমূর্তি তৈরি করার চেষ্টা চলছে, তা রুখতে এবার কোমর বাঁধলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের প্রচার ব্যবস্থাকে আরও অনেকটা গুছিয়ে দিলেন তিনি। তাঁর নির্দেশেই সর্বভারতীয় রাজনীতির জন্য ৬ জনকে মুখপাত্র করা হল। রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে প্রধান মুখপাত্র করলেন মমতা। তাঁর সঙ্গে থাকবেন, লোকসভা তৃণমূল দল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ সৌগত রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার, মহুয়া মৈত্র এবং প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী।
শুধু তাই নয়। এর পাশাপাশি দলের একটি মিডিয়া সেলও গড়ে দিয়েছেন মমতা। সূত্রের খবর, ওই মিডিয়া সেলে ১৫ জন নেতা-মন্ত্রী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শুভেন্দু অধিকারী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস রায়-সহ অন্যান্যরা। জানা গেছে, রাজ্য স্তরের এই মিডিয়া সেলে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও তৈরি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, দলের মুখপাত্ররা কোন বিষয়ে কী অবস্থান তুলে ধরবেন তা নিয়ে আলোচনা হবে ওই গ্রুপে। তাছাড়া কোনও ব্যাপারে দলনেত্রীর কী অবস্থান তাও ওই গ্রুপে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে টিভি চ্যানেলে সন্ধ্যার পরে যে বিতর্ক সভা বসানোর ব্যাপার শুরু হয়েছে, সেখানে অধিকাংশ সময়েই তৃণমূল কোনও প্রতিনিধি পাঠাত না। ফলে চ্যানেল এমন লোকজন এনে বসাতেন যাঁরা নিজেদের তৃণমূল সমর্থক, তৃণমূলপন্থী ইত্যাদি বলে দাবি করতেন। কিন্তু তৃণমূলের তরফে প্রধান মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও চ্যানেল এ ভাবে কোনও লোককে বিতর্কে বসিয়ে তাঁকে তৃণমূল সমর্থক বা তৃণমূলপন্থী বলে দাবি করতে পারবে না। বিতর্কের প্রয়োজনে প্রতিনিধি পাঠানোর দরকার হলে দলকে জানাতে হবে। দল বিবেচনা করবে, কোনও নেতা বা নেত্রীকে পাঠান হবে কিনা।