ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত নেইমার। এতদিন মাঠের বিতর্কের মধ্যে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। এ বার মাঠের বাইরের ঘটনায় জড়িয়ে গেলেন। শুধু জড়ানো নয়, তাঁর নামে ফৌজদারি মামলাও রুজু হয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যে ব্রাজিলের আদালতে সেই মামলা উঠতে চলেছে। ঘটনা প্যারিসের হলেও ব্রাজিলীয় মহিলা অভিযোগ করেছিলেন দেশে ফিরে। বলেছেন, ‘ঘটনার পর ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই দেশে ফিরে অভিযোগ করি।’
ব্রাজিলীয় পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত মার্চ মাসে নাকি এই মহিলার সঙ্গে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে আলাপ হয়েছিল নেমারের। তদন্তের স্বার্থেই ব্রাজিলীয় পুলিশ ওই মহিলার নাম প্রকাশ করেনি। জানা গিয়েছে, গত ১৫ মে প্যারিসের এক হোটেলে রাত ৮টা নাগাদ এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পুলিশকে ওই মহিলা জানিয়েছেন, তাঁকে বিমানের টিকিট পাঠিয়ে ব্রাজিল থেকে প্যারিসে নিয়ে আসেন নেমার।
ওই মহিলা পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, ১৫ মে রাতে মদ্যপান করে হোটেলে এসেছিলেন নেমার। তাঁর কথায়, ‘‘কিছুক্ষণ কথাবার্তার পরে হঠাৎ আগ্রাসী হয়ে ওঠে নেমার। তার পরেই আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে।’’ ঘটনার দু’দিন পরে ব্রাজিলে ফিরে যান ওই মহিলা। কিন্তু ফরাসি পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি তিনি। যে প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। ভয়ে তাই বিদেশে পুলিশের দ্বারস্থ হইনি।’
নেমার যদিও ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে ইনস্টাগ্রামে সাত মিনিটের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন নেমার। সেখানে ওই ঘটনার পরে পর্তুগিজ ভাষায় সংশ্লিষ্ট মহিলার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর কথাবার্তা তুলে ধরে দাবি করেছেন, ঘটনার পরেও মহিলা স্বাভাবিক ছিলেন।