বুধবার বিকেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া একটি ভিডিও ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। সেখানে দেখা যায়, বিজেপি নেতাদের নির্দেশ মতো একটি খুঁটিতে গেরুয়া পতাকা বেঁধে মাটিতে ভাল করে পুঁতছেন ওই তৃণমূল কর্মী। তারপর জুতো খুলে, পতাকার নিচে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে নমস্কার করছেন, সঙ্গে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিচ্ছেন তিনি।
চন্দ্রকোনার সনপুর বুথের সক্রিয় তৃণমূল কর্মী সুভাষ পালের সঙ্গে ঘটা এমন ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকা জুড়ে।ভিডিওটিতে দেখা যায়, সেখানে রয়েছেন বিজেপির স্থানীয় নেতা হৃদয় হাজরা, সুশীল চৌধুরীরা। সুভাষকে এভাবে হেনস্থা করার পর তাঁকে দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে সেটি সর্বসমক্ষে পড়তে বাধ্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
এখনো পর্যন্ত ঘটনাটি নিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে পুলিশ খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে। যদিও এই বিষয়ে কিছু বলতে চাইছেন না সুভাষ। “যা বলার পরে বলব।”
তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়েছে গোটা জেলায়। ক’দিন আগে গড়বেতা কলেজে এবিভিপি-র এক দল ছেলে ঘরে ঢুকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কপালে গেরুয়া তিলক এঁকে মিষ্টি খাইয়েছিল। তারপর এই ঘটনা। সাধারণ এক তৃণমূল কর্মীকে এমন হেনস্থা সমর্থন করছেন না অনেকেই। বলছেন, রাজনীতিতে এই সংস্কৃতি সমর্থনযোগ্য নয়। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌতম ভট্টাচার্যের কথায়, “একটু ভোট পেতেই বিজেপির স্বরূপ প্রকাশ পাচ্ছে। মানুষ এটা ভাল ভাবে নেবে না।”
চন্দ্রকোনা বিধানসভায় এ বার ‘লিড’ পেয়েছে তৃণমূল। এই লিডের জোরেই আরামবাগ লোকসভায় ১১৪২ ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার। তবে যে জায়গায় এই পতাকা প্রণামের ঘটনাটি ঘটেছে, সেই সনপুর বুথে ৪০ ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তারপরেই এই ঘটনায় এলাকাবাসী বিরক্ত। অনেকেই বলছেন, ‘‘পার্টি অফিস দখল, মারধর, হুমকি, জরিমানার এই ট্র্যাডিশন কবে বন্ধ হবে!’’