বাংলাতে তো বটেই এমন কি সারা দেশেও কার্যত সাইনবোর্ড ঝুলে গেছে বামেদের গড়ে। একসময়ে বাংলা ও ত্রিপুরায় একচেটিয়া রাজত্ব চালিয়েছেন বামেরা। এই রাজ্যগুলো ‘লাল দুর্গ’ নামে খ্যাত ছিল। সেই দুর্গ আজ ধুলিস্মাৎ। শূণ্য হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁদের এই দুই রাজ্য থেকেই। অন্যদিকে বামশাসিত কেরলেতেও একটির বেশি আসন নিজেদের ঝুলিতে আনতে পারেন নি বাম নেতৃত্ব। তবে এত সত্ত্বেও বামেদের ‘ঔদ্ধত’ কোথাও গিয়ে কম নেই। এই ভরাডুবি পর্যালোচনার পথে না গিয়ে চালিয়েছে দোষারোপের পালা। সঙ্গে চলেছে অন্য নেতা-নেত্রীদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ।
এইবার হঠাৎই সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নৈহাটি যাত্রা নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে বিপাকে পড়ে গেছেন। প্রসঙ্গত, নৈহাটি, ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া সহ উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে তৃণমূল কর্মীরা ঘরছাড়া। আর সেইসব কিছু মিলিয়ে নৈহাটি পুরসভার বাইরে তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হতে, কর্মীদের ঘরে ফেরাতে আজ নৈহাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মসূচী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ভুল তথ্য দিয়ে তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা থেকে মাত্র ৪৩ কিমি দূরে সরকারের টাকায় হেলিকপ্টারে করে নৈহাটি যাচ্ছেন। তাও আবার রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে বসা ধরনায় অংশ নিতে! এরপর কি মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করবেন না?
আর সুজনের এই ট্যুইটের পরই সমালোচনা ধেয়ে আসে তাঁকে লক্ষ্য করে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নৈহাটি গিয়েছেন গাড়িতে, হেলিকপ্টারের কোনও প্রশ্নই আসে না। দ্বিতীয়ত কলকাতা থেকে নৈহাটির দূরত্বও ভুল লিখেছেন তিনি। কলকাতা থেকে নৈহাটির দূরত্ব সড়কপথে প্রায় ৫৮ কিলোমিটার।
আর এই সব ভুল নিয়েও সুজন চক্রবর্তীকে নেটিজেনরা আক্রমণ করেন। কেউ লেখেন, ‘বলছিলাম আপনাকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, আর এই ভুল খবর ছড়ানোর জন্য ভরাডুবি হয়েছে আপনাদের।’ আবার কেউ লিখেছেন, ‘আপনি না জেনে ঘরে বসে লিখে যাচ্ছেন কমরেড। উনি হেলিকপ্টারে নয় গাড়ীতে করে যাচ্ছেন। সত্য কে মিথ্যা বানাবার জন্য ধিক্কার কমরেড।’ এই থেকেই বোঝা যাচ্ছে বাম নেতৃত্বের দিশেহারা অবস্থা।