ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, বিজেপির দুষ্কৃতীদের দ্বারা শাসক দলের কর্মীদের ওপরেই নেমে এসেছে আক্রমণ। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ল হুগলীর ধনেখালি৷ তৃণমূল কর্মীর পেটে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সেই বিজেপির বিরুদ্ধেই৷
এবারের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের রত্না দে নাগকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়৷ ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ, তারপর থেকে ক্রমশই কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে জেলার তৃণমূল কর্মীদের৷ বিভিন্ন প্রান্তে দখল করে নেওয়া হচ্ছে দলীয় কার্যালয়৷ শুধু তাই নয়, আক্রান্তও হতে হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের নেতাকর্মীদের৷
বুধবার রাতে ধনেখালির তালবোনা গ্রামে মাঠে বসে গল্প করছিলেন সুরেশ মুদি নামে এক তৃণমূল কর্মী৷ অভিযোগ, সেই সময় বিজেপি আশ্রিত বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী ওই মাঠে আসে৷ সুরেশকে বেধড়ক মারধর করে তারা৷ বাঁশ এবং লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করা হয় তাঁকে৷ মারধরের পর তৃণমূল কর্মীর পেটে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ৷ তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ওই তৃণমূল কর্মীকে৷ বর্তমানে তাঁর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক৷
এই ঘটনায় চলছে অভিযোগ-পালটা অভিযোগের পালা। এলাকার স্থানীয় মানুষ গোটা ঘটনার জন্য গেরুয়া শিবিরকেই দায়ী করেছে৷ তবে বিজেপির তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে৷ পরোক্ষে নিজেদের ঘাড় থেকে দোষ ঝেড়ে ফেলতে এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করছে পদ্ম শিবিরের নেতাকর্মীরা। তবে এখনও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেই।