ভোটের আবহের মধ্যেই আজ প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফলাফল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ঠিক ৮৮ দিনের মাথায় বেরলো মাধ্যামিকের ফল। এবছরের মাধ্যমিকে ফলাফলের নিরিখে জয়জয়কার জেলাগুলির। পিছিয়ে পড়ল কলকাতা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে আজ সকাল ৯টা থেকে ফলাফল ঘোষণা করা শুরু হয়। এবার মাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৫০ হাজার ৩৯৭ জন। তার মধ্যে পাশের হার হল ৮৬.০৭ শতাংশ। যা পর্ষদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় গাঙ্গুলী। সেখানে কলকাতা সাফল্যের হারে দ্বিতীয় হলেও প্রথম দশের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ছাত্রী পাশের হার বেড়ে হয়েছে ৮২.৮৭ শতাংশ।
২০১৯ মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের মহম্মদপুর দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের ছাত্র সৌগত দাস। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। শতাংশের হারে তা হল ৯৯.১৪%। যুগ্ম দ্বিতীয় হয়েছে শ্রেয়সী পাল এবং দেবস্মিতা সাহা। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। যুগ্ম তৃতীয় হয়েছে, রায়গঞ্জের ক্যামেলিয়া রায় এবং নদীয়ার ব্রথীন মণ্ডল। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। আলিপুরদুয়ার থেকে চতুর্থ হয়েছে অরিত্র পাল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। সাফল্যের হারে প্রথম জেলা হল পূর্ব মেদিনীপুর। এখানে সর্বাধিক ৯৬.১০ শতাংশ।
পঞ্চম স্থানও ধরে রেখেছে জেলা। এই স্থান দখল করেছে দু’জন। হুগলি জেলার সুকল্প দে এবং কান্দির রুমণা সুলতানা। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬। ষষ্ঠ স্থানে পাঁচটি জেলা। গোঘাটের সোহম দে, রামপুরহাটের সাবর্ণী চ্যাটার্জি, বর্ধমানের সাহিত্যিকা ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুরের সুপর্ণা সাহু এবং হাওড়ার অঙ্কন চ্যাটার্জি। এদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫। সপ্তম স্থান অধিকার করেছে কোচবিহারের গায়ত্রী মোদক, ঘাটালের অণীক চক্রবর্তী এবং নদীয়ার সপ্তর্ষি দত্ত। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪।
অষ্টম স্থান অধিকার করেছে ১১ জন। নবম স্থানে জয়েশ রায় ৬৮২–সহ অনেকে এই স্থান দখল করেছে। আর দশম স্থানে একাধিক নাম রয়েছে। যাদের বেশিরভাগই জেলার। এখানে কলকাতার যাদবপুর বিদ্যাপীঠ থেকে সোহম দাস জায়গা করে নিয়েছে। মোটের উপরে এই বছর পাশের হার বেড়েছে।