আজ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলী। এবছর মাধ্যমিকে প্রথম স্থান দখল করেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহম্মপদপুর দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের ছাত্র সৌগত দাস। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। যুগ্ম দ্বিতীয় হয়েছে শ্রেয়সী পাল এবং দেবস্মিতা সাহা। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। তৃতীয় হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ক্যামেলিয়া রায়। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯।
মাধ্যমিকের ফলাফলের পর ছাত্রছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইট করে লেখেন, “অভিনন্দন সকল ছাত্রছাত্রীদের। যারা মাধ্যমিক পরীক্ষায় এই সাফল্য পেয়েছে। অনেক শুভেচ্ছা রইল তাদের অভিভাবক, শিক্ষক–শিক্ষিকাদের। ভবিষ্যতে আরও সাফল্য আসুক এই কামনা করি”। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সকল ছাত্র ছাত্রীরাই বাংলার ভবিষ্যৎ। তাঁদেরকে শুভকামনা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি সকল ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আছেন।
ভগবানপুরের মনোহরপুরের সাদামাটা পরিবারের ছেলে এবারের মাধ্যমিকে প্রথম সৌগত। বাবা মহম্মদপুর দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠেরই অঙ্কের শিক্ষক। মা গ্রামের স্বাস্থ্যকর্মী। পড়াশোনা নিয়েই কাটে সৌগতর সারাদিন। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞান নিয়ে ভর্তি হয়ে গেছে ক্লাস ইলেভেনে। ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন তার দু’চোখে। সৌগতর কথায়, ‘‘এই এলাকায় কারও অসুখ হলে কতটা অসুবিধার মধ্যে তাকে পড়তে হয়, তা দেখছি ছোট থেকেই। খুব ইচ্ছে যদি ডাক্তার হতে পারি। আমার এলাকার মানুষদেরই সেবা করতে পারি।’’
ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে ফালাকাটা গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী শ্রেয়সী পালেরও। শ্রেয়সীও একেবারেই মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। শ্রেয়সীর বাবা শ্যামাপ্রসাদ পাল অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক। মা গৃহবধূ। দিনের মধ্যে ৮-১০ ঘণ্টাই পড়াশোনা করে কাটে শ্রেয়সীর। তিনি জানিয়েছে, “মহাপুরুষদের জীবনী পড়তে ভালো লাগে তার। হবিও পড়াশোনাই। ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে গ্রামের মানুষদের সেবা করতে চায় শ্রেয়সী”। ফলাফল প্রকাশের পর তৃতীয় স্থান অধিকারি ক্যামেলিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “খুব টেনশন হচ্ছিল। ভবিষ্যতে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা নেই। তবে গবেষণা নিয়ে এগোনোর ইচ্ছা রয়েছে”।