দেশ জুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন। সাত দফার মধ্যে ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে ৫ দফার ভোট। বাকি আর মাত্র দু’দফা। তবে এখনও দেশের কোনও প্রান্তে দেখা নেই গতবারের সেই ‘মোদী লহরের’। যা দেখে স্বাভাবিকভাবেই কপালে ভাঁজ পড়েছে গেরুয়া শিবিরের। এরইমধ্যে তাদের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি-ঘনিষ্ঠ অকালি দলের নেতা নরেশ গুজরাল। শুক্রবার সোজাসাপ্টাই তিনি জানিয়ে দিলেন, এবার আর একক গরিষ্ঠতা পাবে না বিজেপি। ফলে এনডিএ জোট ক্ষমতায় এলে নরেন্দ্র মোদীই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিলেন শরিক দলের এই নেতা।
নরেশ গুজরাল শুক্রবার বলেন, ‘আমি বাস্তববাদী। আমি বিশ্বাস করি, এবার কেউই নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পাবে না। তবে এনডিএ জোট গরিষ্ঠতা পেয়ে যাবে এবং কেন্দ্রে স্থায়ী সরকার গড়বে।’ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রকুমার গুজরালের ছেলে নরেশ গুজরাল। এবার বিজেপিকে শরিক দলগুলির মতামত আরও অনেকটাই মেনে চলতে হবে, তেমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন গুজরাল। তাঁর মন্তব্য, ‘যখন কোনও দলের গরিষ্ঠতা নেই, তখন সবাইকে নিয়েই চলতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। সেটাই হল স্বাস্থ্যকর গণতন্ত্র। আর এভাবেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ন্যায়বিচার পেয়ে থাকে।’
এমন সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা রাম মাধবও। একই মত শরিক শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউতেরও। ব্লুমবার্গ সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাম মাধব বলেছিলেন, ‘আমরা নিজেরা ২৭১টি আসন পেলে খুশি হব। তবে এনডিএর শরিকদের সঙ্গে নিয়ে আমরা ভাল রকম গরিষ্ঠতা পেয়ে যাব। রাজনীতিক হিসেবে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, গত বার যে সাফল্য আমরা পেয়েছিলাম, প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার কারণে এবার তার পুনরাবৃত্তি না হতেই পারে।’
সঞ্জয় রাউতও বলেন, ‘রাম মাধবের বিবৃতি আমি যথার্থ বলেই মনে করি। এবার বিজেপির পক্ষে ২৮০ বা তার বেশি আসন পাওয়া কঠিন হবে। তবে ভোটের পর বিজেপিই হবে সবচেয়ে বড় দল। তাদের নেতৃত্বে সরকার গড়বে এনডিএ।’ তাঁর মতে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে আঞ্চলিক দলগুলি এবার ভোটে আরও বেশি শক্তি নিয়ে আসবে। দলীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি শরিকদের করা এমন মন্তব্যে যে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির, তা বলাই বাহুল্য।