গরম পড়তেই দার্জিলিং-এ পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। তবু ম্যালের পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ ছিল পর্যটকদের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দার্জিলিংয়ের সৌন্দর্যায়ন নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ বার সেইসব অভিযোগ দূর করতে দার্জিলিং ম্যাল সংস্কারে হাত দিয়েছে জিটিএ এবং দার্জিলিং পুরসভা। দার্জিলিং পুরসভার পুরপ্রধান প্রতিভা রাই বলেন, “ম্যাল নিয়ে যাতে আর কেউ অভিযোগ করতে না-পারেন, এ বার সেই ব্যবস্থা হচ্ছে। গোটা ম্যাল এ বার ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ম্যালের নতুন চেহারা দেখে পর্যটকরা খুশি হবেন, সেই ব্যাপারে আমরা আশাবাদী”।
ম্যালের পুরো প্রাঙ্গনেরই পিচ তুলে দিয়ে নতুন করে কংক্রিট করা হয়েছে। তার উপরে বসানো হচ্ছে সিমেন্টের ব্লক। তার পরে বসানো হবে টাইলস। এমনকী, ম্যালের চারধারে পেতে রাখা চেয়ারও সংস্কার করা হচ্ছে যাতে পর্যটকরা শান্তিতে দু’দণ্ড সময় কাটাতে পারেন। ম্যাল থেকে ভানু ভবন কিংবা ম্যাল রোড ধরে পর্যটকেরা যাতে গ্লেনারিজ কিংবা কেভেন্টার্সে যেতে পারেন সেই ব্যবস্থাও হচ্ছে। ভানু ভবনের দিকে যাওয়ার রাস্তার দু’পাশের নিকাশি নালা সংস্কার করা হয়েছে। হাত পড়েছে ম্যাল রোডেও। সেখানকার প্রাচীন ফোয়ারাও সংস্কার করা হচ্ছে যাতে আচমকা প্রবল বর্ষণে নিকাশি নালা উপচে না-পড়ে।
দার্জিলিং পুরসভার দাবি, কেবল ম্যালের প্রাঙ্গন ঢেলে সাজানো কিংবা নিকাশি নালা সংস্কারই নয়, ম্যাল চত্বরের আলোকসজ্জাও নতুন করে সাজানো হবে। ম্যাল লাগোয়া সমস্ত পার্কও সংস্কার করা হচ্ছে যাতে পর্যটকরা সেখানেও যেতে পারেন। দার্জিলিং এজেন্ট অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ লামা বলেন, ‘পর্যটক এলে দার্জিলিংয়ের একটা চায়ের দোকানিও লাভবান হন। সেখানে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে ম্যালের সংস্কারের পরিকল্পনা খুব ভালো কাজ।’
ভোট শেষ হলে সেটা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। চলতি মাসের মাঝামাঝি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়লে পর্যটকদের ভিড়ে ম্যাল থিকথিক করবে, সেই ব্যাপারে আশাবাদী পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। আর পর্যটক মানে যে দার্জিলিংয়ের অর্থনীতি আরও একটু চাঙ্গা হবে সেটা গত বছর থেকে নতুন করে উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে জিটিএ এবং দার্জিলিং পুরসভা ম্যাল সংস্কারের কাজে হাত দেওয়ায় সকলেই খুশি।