১১ এপ্রিল হয়েছিল পশ্চিম ত্রিপুরার ভোট গ্রহণ। দুপুরের পর থেকেই সিপিএম, কংগ্রেস-সহ প্রধান বিরোধী দলগুলি অভিযোগ তুলতে থাকে, শাসক দল বিজেপি ভোট লুঠ করেছে। ছাপ্পা ভোট, ইভিএমে কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখিয়ে বুথে আসতে না দেওয়া – গণতন্ত্রের গলা টেপার সমস্ত রকম প্রক্রিয়াই চালানো হয়েছিল এখানে। সব বিরোধীরা কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছিল, ফের ভোট হোক এই কেন্দ্রে।
অবশেষে আজ বুধবার ৮মে কমিশন জানিয়ে দিল, ১৬৮টি বুথে ফের ভোট নেওয়া হবে। আগামী ১২মে যখন সারা দেশে ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ হবে, তখনই পশ্চিম ত্রিপুরার ওই বুথগুলিতে রিপোল হবে। কমিশনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাস্তায় পেট্রলিং করবে কুইক রেসপন্স টিম। যাতে কোনও ভোটারদের বাধা না দেওয়া হয়।
১৮ এপ্রিল ত্রিপুরা পূর্ব কেন্দ্রের ভোটেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন অবস্থা হয়, যে গোটা ভোট পিছিয়ে দিতে হয় কমিশনকে। ২৩ এপ্রিল হয় সেই ভোট। এবার ১১ এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরার ভোট গ্রহণকে বাতিল ঘোষণা করে ১২মে পুনরায় ভোট গ্রহণের দিন ঘোষণা করল কমিশন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, কমিশনের এই সিদ্ধান্ত ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের জন্য মোটেই ভাল কথা নয়। বরং বিরোধীরা যে অভিযোগ তুলেছিল, সেটাই মান্যতা পেয়েছে। ত্রিপুরা নিয়ে কমিশনের এই সিদ্ধান্তের পর বিজেপি-কে কটাক্ষ করে এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘এই তো গণতন্ত্রের নমুনা। তারা আবার বড়বড় কথা বলে বাংলায় এসে।’