রাজীব গান্ধিকে ‘ভ্রষ্টাচারী নম্বর এক’ বলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার মোদীর বন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে চাঁচাছোলা জবাব দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। নাম না করে, মহাভারতের প্রসঙ্গ টেনে এনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘দুর্যোধন’ বলে আক্রমণ করলেন। প্রিয়াঙ্কা সাফ জানালেন, “এই দেশ কখনও অহঙ্কার এবং ঔদ্ধত্যকে ক্ষমা করেনি। ইতিহাস তার সাক্ষী, মহাভারতও তার সাক্ষী। দুর্যোধনেরও এমন ঔদ্ধত্য ছিল। যখন ভগবান কৃষ্ণ তাঁকে বোঝাতে গিয়েছিলেন, উনি তাঁকে বন্দি করার চেষ্টা করেছিলেন”। এই প্রসঙ্গে হিন্দি কবি রামধারী সিং দিনকরের একটি কবিতারও উল্লেখ করেছেন কংগ্রেসের এই সাধারণ সম্পাদক। বাংলার যার অর্থ, ‘মানুষের অবক্ষয় শুরু হলে প্রথমে তাঁর বিবেক মারা যায়।’ প্রিয়াঙ্কা বলেন, “সাহস থাকলে প্রধানমন্ত্রীর উচিত উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, কৃষক এবং মহিলাদের ইস্যু নিয়ে লোকসভা নির্বাচনে লড়া। না হলে মানুষ তাঁকে শিক্ষা দেবেন”।
মঙ্গলবার হরিয়ানার আম্বালা লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী কুমারী শৈলজার হয়ে প্রচারে এসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেখানে নির্বাচনী জনসভা থেকেই মোদীকে ‘দুর্যোধন’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। আম্বালার পর রোহতকেও কংগ্রেস প্রার্থী দীপেন্দ্র সিং হুডার সমর্থনে রোড শো করেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। এদিন হেলিপ্যাড থেকে মহিলা পরিচালিত গোলাপি অটোয় সওয়ার হয়ে মাতা দরওয়াজা পর্যন্ত যান তিনি। সেখান থেকেই তাঁর রোড শো শুরু হয়।
এদিন আম্বালার জনসভা থেকে নির্বাচনী প্রচারে তাঁর বাবাকে টেনে আনার কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘বিজেপি নেতারা প্রচারে গিয়ে সমস্যা নিয়ে কোনও কথা বলছেন না। কেন প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেননি, তা নিয়েও কোনও কথা নেই তাঁদের মুখে। তাঁরা অন্য সমস্ত কিছু নিয়ে কথা বলছেন। কখনও বলছেন, হাতি ৭০ বছর ধরে ঘুমোচ্ছিল, কখনও বা শহিদদের নাম করে ভোট চাইছেন। এবং অন্য সময়ে তাঁরা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করা আমার পরিবারকে অপমান করছেন’।