একটু আগে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানালো যে সেনার একটি পর্বতারোহী দল ৯ই এপ্রিল মাকালু অভিযান চলাকালীন বরফের মধ্যে ৩২ বাই ১৫ ইঞ্চির এক রহস্যময় পায়ের ছাপ লক্ষ্য করে। সাধারণত এরকম প্রাণীর কথা বলা নেই কোথাও। একটা ছাড়া। আর তারা মনে করছে এটি ইয়েতির পায়ের ছাপ। রহস্যময় প্রাণী ইয়েতির পায়ের ছাপ ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রথম প্রত্যক্ষ করলো বলে দাবী করছে।
মাকালু পৃথিবীর পঞ্চম উচ্চতম পর্বত। মাউন্ট এভারেস্ট এর ২২ কিমি পূর্বে অবস্থিত একটি বিচ্ছিন্ন চূড়া যার আকৃতি একটি চৌকোণা পিরামিডের মতো।শোনা যায় আরোহনের জন্য এটি বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পর্বত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এই মাকালুতেই নাকি ইয়েতির বাস। লোকমুখে সেটাই চাউর। ১৯৬২ সালে এভারেষ্ট বিজয়ী এডমন্ড হিলারিও পর্বতারোহনের সময় নেপালের পূবদিকে মাকালু এবং রোলওয়ালিং পর্বতশৃঙ্গে তুষারের গায়ে ইয়েতির পায়ের ছাপ দেখতে পেয়ে ছিলেন। অনেকেই এই পায়ের ছাপ দেখতে পান কিন্তু হিমালয় অঞ্চলে এখনো পর্যন্ত ইয়েতির কোন মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায় নি।
কোন কিছু আমরা পুরোপুরি জানতে না পারলেই ওর চারপাশে রহস্য ছিটিয়ে দিই। মানুষ আকাশকুসুম কল্পনা করে নেয়। এটুকু জানা গেছে যে ইয়েতি ‘জাইগানটোপিথিকাস’ নামে প্রাগৈতিহাসিক দানব সদৃশ নরবানরের বংশধর।
ভোটের বাজারে সেনাবাহিনীর এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে রাজনীতি হতেই পারে। অনেকে বলবে পলিটিকাল গিমিক আসল বিষয়গুলো থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে। কেউ কেউ বলবে এতো যখন সন্দেহ পরেরবার বিরোধী নেতাকে মাকালু আরোহনে পাঠানো হোক। আমার মতো বাকি কিছু লোক যারা আজ ও ইটি, গুপ্তধন, আদিম গুহামানব, আটলান্টিস, হিজিবিজবিজে বিশ্বাসী তারা একটু নড়েচড়ে বসবো। ইয়েতি কি তার মানে সত্যি আছে? আমাদের এই লাঠালাঠি, মারামারির সভ্যতার বাইরে ও কিছু মানুষ হিমালয়ের প্রত্যন্ত এলাকায় আছে যাদের আমরা দেখতে পারিনা? যারা নিজের একটা পৃথিবী বানিয়ে নিয়েছে? যেখানে সোনার মতো জল, রাতে বরফের মধ্যে কিছু মানুষের জটলা আর এক থালা চাঁদের আলোয় ওদের দেখা যায়?
কী জানি। ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান অ্যার্জের টিনটিন, সুনীল বা Srijit Mukherji’s ফিকশন!
মতামত লেখকের ব্যক্তিগত