হাতে আর মাত্র কিছুদিন। তাই দিনরাত এক করে প্রচার করছেন তৃণমূলের সব প্রার্থীরাই। প্রথম থেকেই প্রচারে ঝড় তুলছে তৃণমূল। প্রতিটি সভায়, মিছিলে যেভাবে মানুষ সমর্থন জানাচ্ছেন তার ধারে কাছেও নেই বিরোধীরা। গতকাল নারায়ণগড়েও মানস ভুঁইয়ার ক্ষেত্রে দেখা গেল এই একই দৃশ্য। শাঁখ বাজিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাল নারায়ণগড়।
প্রচারের জন্য নারায়ণগড়ে পা রাখতেই কয়েক মুহূর্তের জন্য থমকে গেল তৃণমূলের মিছিল। সেখানে একটি অভিনব দৃশ্য দেখলেন তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা। তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়াকে দেখে বহু মহিলা শাঁখ বাজিয়ে অভিবাদন জানালেন। প্রায় এক মাস ধরে যেখানেই প্রচারে গিয়েছেন তিনি, বহু এলাকায় তৃণমূলের কর্মী–সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ তাঁকে নানা ভাবে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। এই দৃশ্য সকলের কাছেই স্বাভাবিক একটি ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু নারায়ণগড়ে এমন অভ্যর্থনা তাঁর আত্মবিশ্বাস যে বাড়িয়ে দিল, সে কথা বলাই বাহুল্য।
গতকাল মানস প্রতিটি বুথের বাড়ি যান। গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখেন কোন পরিবার, কোন প্রকল্পগুলি পেয়েছে। কারা কোন প্রকল্প পায়নি। এরপর তিনি দলের নেতা–কর্মীদের বলেন, “মানুষের কাছে যান। ভুল হয়ে থাকলে তাঁদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বুঝিয়ে বলুন। মনে রাখবেন মানুষের কাছে পরিষেবা না পৌঁছালে নেতা–কর্মীদের কোনও বিচ্যুতি বরদাস্ত করবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মনে করিয়ে দেন, আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছি, তৃণমূল ভোট পাখি নয়। সারা বছর ৩৬৫ দিন মানুষের পাশে থাকা একটা রাজনৈতিক দল”।
অন্যান্য দিনের মত এদিনও তাঁর প্রচারে উঠে এসেছে উন্নয়নের কথা। বলেছেন, বাংলার মানুষের উন্নয়নের জন্য দিনরাত এক করে কাজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সবসময়ে মানুষের পাশে থাকেন। আর বিজেপি শুধু মাত্র মানুষকে মিথ্যা কথা বলে। তবে বাংলার মানুষ এই বিভ্রান্তিতে আর ভুলবেন না। সিপিএমের কমরেডরা এখন কাস্তে হাতুড়ি ছেড়ে পচা পদ্মের চাষ করেছেন”।
গতকাল মানসকে নারায়ণগড় যেভাবে অভ্যর্থনা জানাল তা অভাবনীয়। তৃণমূল প্রার্থীকে দেখে মহিলারা শাঁখ বাজালেন। অনেকে ফুল ছুড়লেন। যা দেখে অভিভূত প্রার্থী মানসও। এই ব্লকের কুসবশান, রেডিপুর, কোটবাড়, গোনুয়া–সহ ৫টি গ্রামে প্রচার করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন, তৃণমূল নেতা কওসার আলি, মিহির পাহাড়ি, সূর্য অট্ট প্রমুখ।