ঘোর লাগা নীল রঙা ব্যাকগ্রাউন্ড। তারওপর অর্ধেক নারী মুখ। সেখানে তেজোদীপ্ত দুটি চোখ। আর তৃতীয় নয়নের কাছে একটি নীল টিপ। তাতে লেখা, ‘দুষ্টের দমনে শিষ্টের পালনে তিনি আসছেন’।
তৃণমূলের অফিসিয়াল পেজে প্রথম পোস্ট হয় এই পোস্টার। তারপর থেকে তামাম সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গেছে এটা। সবার মুখে একটাই প্রশ্ন, কারা আসছে? রবিবার সন্ধ্যা ছ’টায় এই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও ওই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে। আর বাকি দু’দিন। তারপরই জানা যাবে এই পোস্টারের আসল রহস্য। আর এখন চড়ছে পারদ, বাড়ছে জল্পনা।
অবশ্য সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাঁধ মানছে না। তৃণমূলের কোনও নেতা-কর্মীকে সামনে পেলেই তাঁদের জিজ্ঞাসা, দুষ্টের দমনে শীষ্টের পালনে কে আসছে? কিন্তু মুখে কুলুপ এটেছেন তৃণমূলের নেতারা। হাজার জোরাজুরি করলে তাঁরা জানাচ্ছেন, আর দু’দিন অপেক্ষা করুন। তারপরই সব পরিষ্কার হবে।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূলের এই পোস্টার আসলে নারীশক্তির জয়গান। এই দলের নেত্রী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। আগামী দিনে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবেও উঠে আসছে তাঁর নাম। তাই মহিলাদের সুবিধা-অসুবিধা, ভালো-মন্দ মমতা সবচেয়ে ভালো বোঝেন তিনি। রাজনীতিতে আরও বেশী করে মহিলাদের আনতে লোকসভা ভোটে তৃণমূলে ৪১ শতাংশ সিটে মহিলাদের প্রার্থী করেছেন তিনি। বাংলার মহিলাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্যও এনেছেন ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’-র মতো একাধিক প্রকল্প। তাই এই পোস্টারও সেই নারী শক্তিরই জয়গান গাইবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, চলতি লোকসভা ভোটে নয়া ধাঁচে প্রচার চালাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বাড়িয়ে তরুণ ও যুবসমাজের কাছে পৌঁছে যাওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রথমবারের ভোটারদের উৎসাহ দিতে ‘প্রথম ভোট বাংলার পক্ষে না বিপক্ষে’ লঞ্চ করা হয়েছে। এবার ‘রহস্যময়’ পোস্টারে করা হচ্ছে দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন।