দেশে বিপদজ্জনক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র বিপন্ন। বক্তা দিল্লীর আর্চবিশপ। তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো জাতীয় রাজনীতি। দিল্লীর আর্চবিশপ দেশের সমগ্ৰ খ্রিস্টান সমাজের কাছে আবেদন করেছেন যে ২০১৯এ নির্বাচনের আগে পরিবর্তন চেয়ে প্রার্থনা ও অনশন কর্মসূচি লালন করার। তাঁর এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৮ই মে একটি নির্দেশিকা জারি করেন রাজধানীর আর্চবিশপ অনিল কুটো। তাতে বলা হয়েছে , দেশে যে বিপদজনক একটা রাজনৈতিক পরিস্থিতির আমদানি হয়েছে তা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে আঘাত করছে। এই পরিস্থিতির মুক্তির জন্য আমাদের ২০১৯ অবদি অপেক্ষা করতে হবে। তখন নতুন সরকার আসবে। তিনি লেখেন , ” আমাদের দেশ ও দেশের রাজনৈতিক নেতাদের জন্য প্রার্থনা করা সবসময়ই আমাদের কাছে পবিত্র রীতি। আর লোকসভা নির্বাচন পর্ব এগিয়ে আসার সময় তা আরও বেশি করে প্রয়োজন। ২০১৯ সালে নতুন সরকার আসবে দেশে । সেদিকে তাকিয়ে আসুন আমরা দেশের জন্য প্রার্থনা করি।”
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি সরকার। আর্চবিশপকে তীব্র আক্রমণ করে আরএসএস ও বিজেপি নেতারা।
বিএসএফের একটি অনুষ্ঠানে এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ” নির্দেশিকাটি তিনি দেখেননি। তবে ভারত ধর্ম বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে ভেদাভেদ করেনা। এরকম বিষয় এই দেশে কখনো অনুমোদন করা হবে না।” একই সুর কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মূখতার আব্বাস নাকভির গলায়।