লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শেষ। চলছে চতুর্থ দফার প্রস্তুতি। আর তার মাঝেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এল ভয়ংকর অভিযোগ। যা নিয়ে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। ২৩ মে সন্ধ্যে থেকেই পেট্রোল – ডিজেলের মত জ্বালানিগুলির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা করে বাড়তে চলেছে। অথচ দেশের মানুষ সে কথা জানেন না। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ হানলেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সূর্যেওয়ালা।
শুধু তাই নয়। ভোটের বাজারে মোদীকে রীতিমতো কটাক্ষ করলেন এই বিষয় নিয়ে। তিনি তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একের পর এক বিস্ফোরক পোস্ট করে অভিযোগে ভরিয়ে দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘কোথায় মোদীজী যিনি প্রত্যেক দিন নিজের বীরত্বের বড়াই করেন! চুপ! তিনি দেশের মানুষকে বলেন নি, তিনি দেশের মানুষকে বঞ্চনা করছেন এবং ভোট আদায় করছেন। তিনি তেল সংস্থাগুলিকে অনুরোধ করেছেন ২৩ মে পর্যন্ত জ্বালানির দাম বৃদ্ধি না করতে।’
প্রসঙ্গত, চিনের পরে ভারতই ইরানের প্রথম সারির তেল আমদানিকারক দেশ। কোন রকম চুক্তিতে না গিয়ে ভারত ইরানের থেকে তেল আমদানি করতে পারত এতদিন। এখন সেই চুক্তিই বাতিল করতে চলেছে আমেরিকা। সোমবার ওয়াশিংটন ঘোষণা করেছে, মে মাসে তেলের ওপর থেকে সমস্ত শর্ত মুকুব করে নিচ্ছে ইরান। তেহেরান থেকে তেল কিনতে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ দাবি করেছে, ইরানের তেল ক্রেতারা ১ মের মধ্যে তেল কেনা বন্ধ করে দেবেন অথবা তাঁদের চুক্তি বদ্ধ হতে হবে। তবে কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদী ওই সমস্ত তেল সংস্থাগুলিকে ২৩ মে পর্যন্ত পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বৃদ্ধি না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। যে দিন কিনা চলতি ভোট প্রক্রিয়ার ফলাফল বের হবে।
শুধু তাই নয় রণদীপ সূর্যেওয়ালা আরও লিখেছেন, ‘তেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে এই ৬ মাসে। মানুষের কষ্টের রোজগার ভুলুণ্ঠিত হচ্ছে। অথচ অপরিশোধিত তেল আমদানিতে শর্ত আরোপ করা হচ্ছে। দেশে তেলের চাহিদা এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন।’ ভোটের মরসুমে এই অভিযোগ সামনে সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে সবাই। কপালে ভাঁজ পড়েছে অনেকের। এই অভিযোগ সত্যি হলে তা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বহু রাজনীতি বিশেষজ্ঞ।