বিজেপির সঙ্গে মতুয়াদের একাংশের মতানৈক্যই মূল কারণ নয়, সোমবার যোগী আদিত্যনাথের প্রচার সভায় বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের অনুপস্থিত থাকার আসল কারণটা কিন্তু অন্য। শান্তনুকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হতেই এল চাঞ্চল্যকর খবর। কী সেই রহস্যময় কারণ? জানা গেছে, লোকসভা নির্বাচনে লড়ার জন্য শান্তনু বিজেপির কাছে যত টাকা দাবি করেছিলেন তা দেয়নি দল। আর টাকা নিয়ে দর কষাকষিতেই মনক্ষুণ্ণ হয়ে ভোটপ্রচার থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী।
প্রসঙ্গত, গতকাল শান্তনুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, রবিবার রাত থেকে গুরুতর অসুস্থ প্রার্থী। রাতে ডাক্তার এনে চিকিাৎসা করাতে হয়। চলেছে স্যালাইনও। সোমবারও নাকি বিছানা থেকে উঠতে পারেননি তিনি। তাই যেতে পারেননি যোগীর সভায়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, শান্তনুর সমর্থনেই যখন সভা, তখন এ কথা তো বিজেপি নেতৃত্বের জানার কথা। কিন্তু কেন তা জানা ছিল না দলের? কেনই বা শান্তনুর তরফে তা জানানো হয়নি দলীয় নেতৃত্বকে। শান্তনু ঘনিষ্ঠদের দাবি, ‘সময় পাওয়া যায়নি!’
শান্তনু ঘনিষ্ঠরা যাই বলুন না কেন, গতকালই ঠাকুরবাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছিল যে, মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে রাজনৈতিক ভাগাভাগি চাইছে না মতুয়া যুব সমাজের একাংশ। তাঁদের দাবি, রাজনীতিমুক্ত থাক ঠাকুরবাড়ি। মতুয়াদের এই অংশই মূলত আগে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে ছিলেন। এখন তাঁরা পাশ থেকে সরে যেতে হাল ছেড়েছেন শান্তনুও। তাই তাঁর জন্য সভা করতে সোমবার যোগী আদিত্যনাথ উত্তপ্রদেশ থেকে উড়ে এলেও সেই মঞ্চে দেখা যায়নি তাঁকে।
কিন্তু হাটে হাড়ি ভেঙে উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতা জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে লড়ার জন্য শান্তনু বিজেপির কাছে যত টাকা দাবি করেছিলেন তা দেয়নি দল। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দর কষাকষি চলছিল। এরই মধ্যে মনোনয়ন পেশ করেন শান্তনু। কিন্তু মতুয়া যুবারা তাঁর পাশ থেকে সরে যেতেই রণেভঙ্গ দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, শান্তনুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে গতকাল দফায় দফায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিজেপি নেতারা। সূত্রের খবর, কারও ফোনই ধরেননি তিনি। এমনকী, অমিত শাহের আপ্তসহায়ক ফোন করলে সেই ফোনও ধরেননি শান্তনু।