গত ম্যাচে কলকাতাকে হারিয়ে বাড়তি উত্তেজনায় ফুটছিল বিরাটের ব্যাঙ্গালোর। আর সেই জেতার ক্ষিদেতেই বিরাটেরা জয় ছিনিয়ে আনলেন ধোনির কাছ থেকে। তবে ম্যাচ জিততে না পারলেও সবার মন জিয়ে নিলেন ক্যাপ্টেন কুল। রবিবার চেন্নাই অধিনায়কের মারমুখী ইনিংস দেখার পরে স্থির থাকতে পারেননি ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের দাবি, ধোনিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী করা হোক।
ধোনির বিধ্বংসী ইনিংস দেখার পরে দেশের ক্রিকেটভক্তদের মাথায় নায়ক হিসেবে ঘুরপাক খাচ্ছে একজনেরই নাম। তিনি ধোনি। এক ভক্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, জানি না ভবিষ্যতে ধোনি কোনওদিন নির্বাচনে দাঁড়াবেন কি না। যদি নির্বাচনে দাঁড়ান, তা হলে ধোনিকেই ভোট দেব। আর এক ভক্ত একই সুরে লিখেছেন, ‘‘ধোনি ফর পিএম।’’
কে বলবে, এই মানুষটার বয়স ৩৮? যে রকম দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন, ধোনিকে নিয়ে এখনও স্বপ্ন দেখা যায়। সেটা আবারও প্রমাণ হল রবিবার রাতে। বেঙ্গালুরুর ৭ উইকেটে ১৬১ রান তাড়া করতে গিয়ে ২৮ রানে ৪ উইকেট চলে গিয়েছিল চেন্নাইয়ের। সেখান থেকে ঠাণ্ডা মাথায় ইনিংস এগিয়ে নিয়ে গেলেন ধোনি। রায়াডু (২৯), কেদার (৯), জাডেজা (১১), ব্র্যাভো (৫) সবাই ফিরে গেলেন। শুধু একা কুম্ভের মতো লড়লেন ধোনি। শেষ দু’ওভারে দাঁড়িয়েও সিঙ্গলস নিলেন না বড় শট খেলবেন বলে। ৭ টি ছয় ও ৫ টি চার মেরেছেন ধোনি। তার মধ্যে উমেশ যাদবকে শেষ ওভারেই মেরেছেন তিনটে ছয়। সঙ্গে একটা চার। দাঁড়াল এ রকম, ৪-৬-৬-২-৬! পঞ্চম বলটাকে ধোনি যখন বাউন্ডারির ও পারে ফেললেন, তখন বিরাটের মুখে চরম হতাশা।
রবিবার শেষ ওভারে জেতার জন্য সিএসকে-র দরকার ছিল ২৬ রান। উমেশ যাদবের ওভার থেকে একটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান ধোনি। শেষ বলটা ঠিকঠাক সংযোগ না হওয়ায় সিএসকে-কে ম্যাচটা হারতে হয়েছে। খেলার শেষে কোহালি পর্যন্ত বলেছেন, ধোনি ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের। হেরে গেলেও ধোনি জিতে নিয়েছেন সবার মন।