মূলত রামমন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েই গতবারের লোকসভা নির্বাচনে তাদের ক্ষমতায় আসা। এরপর বিগত ৫ বছর ধরেই দেশে নানা ভাবে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা চালিয়েছে বিজেপি। এ জন্য বারবারই বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মোদী-শাহদেএ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিক বার বিজেপিকে ‘সাম্প্রদায়িক দল’ আখ্যা দিয়ে তাদের ভাগাভাগির রাজনীতি নিয়ে সরব হয়েছেন। এই অভিযোগ যে মোটেই ভুল নয়, তা ফের প্রমাণ করে দিল গেরুয়া শিবির। গতবারের মতো এবারের
লোকসভা নির্বাচনেও মোদী-শাহেরা যে ধর্মকে শিখন্ডি করেই ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছেন, তা আরেকবার খোলসা করে দিল বঙ্গ বিজেপি। আরও স্পষ্ট করে বললে, রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চা। ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র গড়তে হলে বিজেপিকে ভোট দিতে হবে। এমন বিতর্কিত লিফলেট ছাপিয়ে ভোট প্রচারে নেমে পড়েছে তারা।
আরামবাগ বিজেপির সাংগঠনিক যুব মোর্চার ওই লিফলেটের প্রতিটি ছত্রে রয়েছে বিতর্কিত মন্তব্য। লিফলেটে লেখা হয়েছে, মুসলিম মৌলবাদকে বাংলা তথা ভারত ছাড়া করতে, সন্ত্রাসবাদী মুসলিমদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে, দিকে দিকে হিন্দু সমাজ ও আরএসএসের হাত শক্ত করতে, ভারতবর্ষকে হিন্দুরাষ্ট্র নির্মাণ করতে বিজেপিকে ভোট দিন! এই লিফলেটের কথা সামনে আসতেই উঠেছে বিতর্কের ঝড়। প্রায় সর্বস্তরেই সমালোচিত হতে হচ্ছে বিজেপির যুব মোর্চাকে। অল বেঙ্গল মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশন যেমন এই লিফলেটের তীব্র বিরোধিতা করে বলেছে, ‘বিজেপির গড়া হিন্দু রাষ্ট্র সাধারণ মানুষ চান না। সাধারণ হিন্দু ও সাধারণ মুসলিম- সকলেই একসঙ্গে থাকতে চান। কিন্তু বিজেপি শুধুই বিভাজনের রাজনীতি করছে।’ বিজেপির এই ধর্মীয় বিভাজন তৈরির চেষ্টা নিয়ে মুখ খুলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলও। ফলে ভোট মরশুমে বাংলায় আরও খানিকটা ব্যাকফুটে চলে গেল পদ্মশিবির।