বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল বাজুভাই বালার সামনে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়ে ফেলেছেন ইয়েদুরাপ্পা।কিনতু বিজেপিকে যথেষ্ট বিপাকে ফেলে শনিবারই কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থা ভোটের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিকেল চারটেয় আস্থা ভোটে সংখ্যারগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে মুখ্যিমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়া বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে!বিধানসভায় প্রমাণ করতে হবে ২২৪ বিধানসভা আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন তাঁদের রয়েছে।এটাকেই প্রায় অসম্ভব বলে ব্যাখ্যা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ভোটে বিজেপি জিতেছে ১০৪টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে তা ৮টি আসন কম। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট একেবারেই সময় দেয়নি যাতে বিজেপি অন্য দলের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে আসতে পারে।সংখ্যাাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১৫ দিন সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এতেই রাজ্যপালের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। শপথের আগের দিন রাতভর শীর্ষ আদালতে চলে সওয়াল জবাব। মুখ্যমন্ত্রীর শপথে স্থগিতাদেশ না দিলেও, মামলা চলে। আজ তার শুনানিতে বিচারপতিরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ১৫ দিন নয়। শনিবারই আস্থা ভোট করতে হবে। ফলে খারিজ হয়ে গেল রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত। শীর্ষ আদালতের আরও নির্দেশ,আস্থা ভোটের আগে বিধায়কদের যথাযথ নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকে। গোপন কোনও ব্যালটে ভোট হবে না। এই নির্দেশের বিরোধিতা করা হয় বিজেপির তরফে। গত দেড়দিনে ১জন কংগ্রেস বিধায়ক বাদে বাকীদের কংগ্রেস-জেডিএস একসঙ্গে করে রাখতে পেরেছে। পরে অবশ্য কংগ্রেসের সেই বিধায়কও ঘরে ফিরে এসে কং-জেডিএসকেই সমর্থন করেছেন। ফলে একজন নির্দল বিজেপিকে সমর্থন জানালে বিজেপি ১০৫ সংখ্যায় পৌঁছেছে। ১১২-র ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে হলে বিজেপির এখনও প্রয়োজন ৭জন বিধায়কের সমর্থন।এই অবস্থায় বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা এককথায় অসম্ভব মনে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের কাছে। যদিও জনসমক্ষে নিজেদের আত্মবিশ্বাসী বলে তুলে ধরেছে বিজেপি।