রবিবার হালকা রোদের আমেজে প্রচার সারলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। কোথাও ঢাক বাজিয়ে চলল ভোট প্রচার, আবার কোথাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মুখোশ পরে চলল জনসংযোগ। কোথাও জনতার সঙ্গে সেলফি তুলে আবার কেউ চা–চক্রে সারলেন আসন্ন ভোটের প্রচার। হাতে সময় বড়ই অল্প। মোটে তিন দিন তাই জোর কদমেই চলছে তৃণমূলের প্রচার। মানুষের ভালোবাসাও কুড়োচ্ছেন প্রার্থীরা।
গতকাল বালিগঞ্জ পার্কের গণপতি ভবনে দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়ের সমর্থনে দীনেশ বাজাজ একটি চা–চক্রের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মারোয়াড়ি, জৈন সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। চা খেতে খেতে তাঁদের সঙ্গে জনসংযোগ সারলেন মালা রায়। সকলেই মালাকে ভোট দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। মালা রায় ছাড়াও ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার, বৈশ্বানর চ্যাটার্জি প্রমুখ। মালা রায় জানান, “মনে রাখবেন ৪২টি কেন্দ্রেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ই প্রার্থী”। ফিরহাদ হাকিম বলেন, “মোদী ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী। নোটবন্দি করে অর্থনীতিকে দুর্বল করে দিয়েছেন”।
রবিবার পাথুরিয়াঘাটার বিনানি ভবনে হিন্দি জনকল্যাণ মঞ্চের উদ্যোগে হোলি মিলন উৎসবে ছিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সাধন পান্ডে, মলয় ঘটক, শশী পাঁজা, মেয়র ফিরহাদ হাকিম–সহ উত্তর কলকাতার প্রায় সব কাউন্সিলর। এই সভায় মন্ত্রীরা জানান, ‘এবারের নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মূল শত্রু বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষের জন্য ৪৮টা প্রকল্প চালু করেছেন। মোদী মানুষ ভাগ করে । আমরা বলছি আকাশ ভাগ করো, জমি ভাগ করো কিন্তু মানুষকে নয়’।
উলুবেড়িয়ায় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মুখোশ পড়ে চলল তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদের সমর্থনে ভোট প্রচার। এই মিছিল করলেন এলাকার কয়েকশো গৃহবধূ। অন্যদিকে, বসিরহাটে জনতার সঙ্গে সেলফি তুলে, মহিলা কর্মীদের সঙ্গে খুনসুটি করে, আড্ডা দিয়ে প্রচার করলেন নুসরত জাহান। জনতার আবদারে গাইলেন গানও। বাঁকুড়া থেকে আসা ১০০ ঢাকি ঢাক বাজিয়ে অভিনব প্রচার চালালেন শ্রীরামপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের সমর্থনে তৃণমূলের কর্মীরা। প্রচারের ফাঁকে কল্যাণবাবু নিজেও ঢাক কাঁধে তুলে নেন।