মঙ্গলবার মুরারইয়ের নন্দীগ্রাম হাইস্কুলের মাঠে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় বীরভূমের মানুষের কাছে ভোট চাইলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত। সভামঞ্চ থেকে জানালেন, বীরভূমবাসীর জন্যে শতাব্দীর করা কাজের কথা।
সভা শুরুর আগে প্রবল ঝড়–বৃষ্টিতে ক্ষতি হয় সভামঞ্চের। মাঠ ভরে যায় জলে। তবু মানুষ ফিরে যাননি। জলের মধ্য দাঁড়িয়েই তাঁর কথা শোনেন সকলে। গত ১০ বছরের স্থানীয় সাংসদ হিসেবে শতাব্দী রায়ের কাজের প্রশংসা করে অনুব্রত বলেন, ‘এখানে শতাব্দী রায় প্রচুর কাজ করেছেন। আপনাদের কাছে বারবার এসেছেন, যোগাযোগ রেখেছেন। ভোটপাখির মতো ভোটের সময় এসে বাকি সময় উধাও হয়ে যাননি তিনি। মানুষের সঙ্গে যেমন মিশেছেন, তেমনই মানুষের পাশে থেকেছেনও। ভোটে জিতে বেইমানি করে তিনি চলে যাননি। তাই তাঁকেই আপনারা ভোট দেবেন। এখানে কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি–র প্রার্থী আছে। এরা সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করেনি। তাই এদের আপনারা ভোট দেবেন না। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনী ইস্তেহারে ৩৪৪ দফা কাজের ফিরিস্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কিছুই করেননি। মানুষের সঙ্গে তিনি বেইমানি করেছেন, চিটিংবাজি করেছেন। এই ভাঁওতাবাজদের আপনারা ভোট দেবেন না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এদিনও তিনি দাঙ্গার মুখ বলে আক্রমণ করেন। তাঁর কথায়, ‘নোটবন্দিতে মানুষের কোনও লাভ হয়নি। শুধু ক্ষতিই হয়েছে। মোদী মানুষের কোনও উপকার করেননি। তিনি শুধু নিজেকে নিয়েই ভাবেন।’এই সভায় বক্তব্য পেশ করেন বক্তব্য পেশ করেন জেলার মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলা তৃণমূলের সহ–সভাপতি অভিজিৎ সিনহা, স্থানীয় বিধায়ক আব্দুর রহমান প্রমুখ।