এবারের লোকসভা ভোটের অন্যতম চমক মিমি এবং নুসরত। যাদবপুরের প্রার্থী হিসাবে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর নাম ঘোষণার পরেই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষ। নাম ঘোষণার দিন থেকেই প্রচার শুরু করে দেন সদ্য রাজনীতিতে পা দেওয়া মিমি। চলছে সভাও। তবে প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে প্রচারেও জোর দিচ্ছেন মিমি।
গতকাল টালিগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডে ম্যুর অ্যাভিনিউয়ের শান্তিনগর কলোনির মাঠে কর্মীসভা করেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী মিমি। হাতে মাইক নিতেই হাততালিতে এবং মানুষের চিৎকারে সভাস্থল ফেটে পড়ে। তিনি মানুষের থেকে আশীর্বাদ চান। পাশাপাশি, প্রত্যেকের অনুরোধে চার লাইন গানও গেয়েছেন তিনি।
সভায় তিনি পরামর্শ নেন দলের অভিজ্ঞ নেতা-কর্মীদের। সেইসব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই তিনি জয় হাসিল করবেন বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি। নিজের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসীও। মিমি জানালেন, তাঁর আত্মবিশ্বাসই তাঁকে জয়ের রাস্তা দেখাবে। তিনি প্রতিপক্ষের প্রার্থীদের সমালোচনা করতে রাজি নন।
টালিগঞ্জ বিধানসভার এই এলাকাটি মূলত স্টুডিওপাড়া বলেই খ্যাত। সেখানে একজন টলিউডের শিল্পী প্রার্থী হয়েছেন। তাই তাঁকে জেতানোর জন্য অরূপ বিশ্বাস স্থানীয় মানুষদের কাছে আবেদন জানান। তিনি বলেন, গত লোকসভা ভোটে সাতটি বিধানসভার মধ্যে টালিগঞ্জ ষষ্ঠ হয়েছিল। কিন্তু এবার আমাদের প্রতিজ্ঞা নিতে হবে, টালিগঞ্জ তৃণমূল প্রার্থীকে লিড দেওয়ার ক্ষেত্রে এক নম্বর হবে। তিনি কর্মী-সমর্থকদের কাছে সেই প্রতিজ্ঞা দাবি করেন। একইসঙ্গে বলেন, তৃণমূল নেত্রীর আশীর্বাদধন্য মিমি চক্রবর্তী ‘ঘরের মেয়ে’। তাই তাঁকে ভোটে জেতানোর জন্য তিনি আর্জি জানান।
এই সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, কাউন্সিলার মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ চক্রবর্তী, তপন দাশগুপ্ত, দেবব্রত মজুমদার, গোপাল রায়, অনিতা কর মজুমদার-সহ ১০ এবং ১১ নম্বর বরোর শাসকদলের অন্যান্য কাউন্সিলার।